জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পরাজিত নৌকার সমর্থকদের প্রায় ১০টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ নেতার কিন্ডারগার্টেন ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিজয়ী ট্রাক প্রতীকের লোকজন। রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত নির্বাচন পরবর্তী কয়েকটি সহিংস ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। স্থানীয় সূত্র জানায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল পরাজিত হওয়ার পর ট্রাক প্রতীকে বিজয়ী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী তেঁজগাও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুর রশীদের লোকজন উপজেলার কয়েকটি স্থানে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। সোমবার সকালে মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া ও বনগ্রামে সংঘটিত হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম অক্ষর ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক শাহীনসহ অন্তত ৫টি বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দু'টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও লুটতরাজ করে। শনিবার রাতে ভাটারা এলাকায় নৌকার প্রচার ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সাতপোয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলামের মালিকানাধীন আদ্রা আর এফ কিন্ডারগার্টেন ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ ট্রাক প্রতীকের লোকজন। একই এলাকায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজ হয়েছে অন্তত ৫টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। পৃথক ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন। সাইফুল ইসলাম অক্ষর ও আবদুর রাজ্জাক শাহীন অভিযোগ করেন, বিজয়ী প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের সমর্থক আলহাজ মাস্টারের নেতৃত্বে বিলবালিয়া এলাকায় নৌকা সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। নৌকার সমর্থকদের প্রাণনাশসহ বাড়িঘর ছাড়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। রবিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, আমার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রবেশ করে ট্রাক প্রতীকের লোকজন চেয়ার টেবিলে ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেছে। পরে স্কুলে তালা দিয়ে চলে গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রশিদের সমর্থকরা কয়েকটি কেন্দ্রে সীল মেরে ভোট নিয়েছে। যারা যারা কেন্দ্রে বাঁধা দিয়েছে এবং নৌকার পক্ষে কাজ করেছে তাদের বাড়িঘরে হামলা ও মারধর করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুর রশীদের বক্তব্য জানতে কয়েক বার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান বলেন, যেখানে যে বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাচ্ছি, সেখানেই পুলিশ যাচ্ছে। ঘটনাগুলো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যেই বিলবালিয়া গ্রামের হামলার ঘটনায় আলহাজ মাস্টার নামে একজনকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।