ঝালকাঠি জেলার দুটি সংসদীয় আসনেই জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ২ হেভীওয়েট প্রার্থী। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী প্রাপ্ত মোট ভোটের কোন প্রার্থী ১২ শতাংশের কম ভোট পেলে তার জামানত হারাবেন। জেলার ২টি সংসদীয় আসনের বিভিন্ন দলের বাকী ৯জন প্রার্থী প্রাপ্ত ভোটের ১২ শতাংশ না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন তারা। জামানতের ২৫ হাজার টাকা ফেরত পাবেননা তারা। ঝালকাঠি -১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন বিএনপি ছেড়ে আসা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম ও ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর-নলছিটি) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন আমু। নির্বাচন কমিশনে তথ্যমত, ঝালকাঠি -১ (রাজাপুর - কাঠালিয়া) আসনে ৯০টি কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৬২৪ ভোট। এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে এজাজুল হক এজাজ পেয়েছেন ১ হাজার ২৭২ ভোট, ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩শত ৭০ভোট, প্রার্থীতা থেকে সরে যাওয়া এম মনিরুজ্জামান মনির ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬শত ২৫ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি মজিবুর রহমান ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ১শত ৪২ভোট, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আঁশ প্রতীকে জসিম উদ্দিন তালুকদার পেয়েছেন ২শত ৮২ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত মামুন সিকদার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৯৭ভোট। এ আসনে শতকরা ৪৭.৭৮ ভাগ মোট প্রয়োগ করেছে। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১লাখ ১৩ হাজার ১৫জন, এর মধ্যে বৈধ ভোট ৯৯ হাজার ৮শত ৯০টি এবং বাতিল হয়েছে ১হাজার ৪শত ২৫টি। অন্যদিকে ঝালকাঠি-২(নলছিটিও ঝালকাঠি সদর) আসনে মোট ১৪৭টি কেন্দ্রে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১ ভোট পেয়ে বেসরকরীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন আমু। তার নিকটমত প্রতীদ্বন্দী জাতীয় পার্টির নাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নাসির উদ্দিন এমরান পেয়েছেন ৪ হাজার ৩ শত ১৭ ভোট। এনপিপি’র আম প্রতীকের মো.ফোরকান হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ২ শত ৫০ভোট। এ আসনে শতকরা ৪২.৯০ ভাগ প্রয়োগ হয়েছে। মোট ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১লাখ ৪৬ হাজার ৭ শত ৮৬ জন, এর মধ্যে বৈধ ভোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫ শত ৬৮টি এবং বাতিল হয়েছে ২ হাজার ২ শত ১৮টি। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কক্ষ থেকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আ. সালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।