দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনে ২৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তার মধ্যে ১৯জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। রোববার ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের ১৯জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত (কাস্টিং ভোট) ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট বেশি পেতে হবে। সে হিসেবে আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে সেসব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এ বিষয়ে জামালপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শফিউর রহমান বলেন, কোন প্রার্থীর জামানত রক্ষা করতে হলে কাস্টিং ভোটের ৮শতাংশ ভোট পেতে হবে,এর কম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ১৩৮জামালপুর-১(দেওয়ানগঞ্জ-বকশিগঞ্জ) আসনে ২লাখ ৪১ হাজার ১৬২ ভোট কাস্টিং হয়েছে। সেখানে জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ৩০ হাজার ১৪৫ ভোটের। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আব্দুল্লা আল মামুন (গামছা’ প্রতীক) ভোট পেয়েছেন ২হাজার ৭৫৯।জাতীয় পার্টির এস এম আবু সায়েম (লাঙ্গল প্রতীক) ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৭০। তৃনমুল বিএনপি’র মো. গোলাম মোস্তফা (সোনালী আঁশ’ প্রতীক) ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ১১৭ ভোট। এতে করে তারা জামানত হারিয়েছেন। ১৩৯ জামালপুর-২(ইসলামপুর) আসনে ১লাখ ১৩ হাজার ৬৩৬ ভোট কাস্টিং হয়েছে। জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ১৪ হাজার ২০৪ ভোটের। এখানে জাতীয় পার্টির মোস্তফা আল মাহমুদ(লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ১০হাজার ২২০ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান আলী মন্ডল (ট্রাক প্রতীক) পেয়েছেন ৭০৬। স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক জিয়া (ঈগল প্রতীক) ভোট পেয়েছেন ১২৫। তৃনমুল বিএনপি’র মো. হোসেন রেজা বাবু (সোনালী আঁশ প্রতীক) তিনি পেয়েছেন ৬৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ১৪০জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে ২ লাখ ৮৯ হাজার ১১১ ভোট কাস্টিং হয়েছে। জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ৩৬ হাজার ১৩৮ ভোটের। জাতীয় পার্টির মীর সামসুল আলম (লাঙ্গল প্রতীক) ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭০ এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) মো. নজরুল ইসলাম (বাইসাইকেল প্রতীক) তিনি পেয়ে্েযছন ২ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ১৪১ জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসনে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫ ভোট কাস্টিং হয়েছে। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ হাজার ৩৮৩ ভোটের। বিএনএফ এর তারিখ মাহাদী (টেলিভিশন প্রতীক) পেয়েছেন ৫১৩ ভোট। তৃণমুল বিএনপি’র মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (সোনালী আঁশ’ প্রতীক) পেয়েছেন ১২৯ভোট। জাতীয় পার্টির মো. আবুল কালাম আজাদ (লাঙ্গল প্রতীক) ৪০০। জাসদ এর মো. গোলাম মোস্তফা জিন্নাহ (মশাল প্রতীক) পেয়েছেন ৩১৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ১৪২জামালপুর-৫ (সদর) আসনে ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৬ ভোট কাস্টিং হয়েছে। জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ৩৬ হাজার ২৯৯ ভোটের। বাংলাদেশ কংগ্রেস এর আবু সায়েম মোহাম্মদ সা-আদাত উল করীম (ডাব প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯৭ ভোট।জাতীয় পার্টির মো. জাকির হোসেন খান (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৪ হাজার ৭১৮ ভোট। জাতীয় পার্টির (জেপি) বাবর আলী খান (বাইসাইকেল প্রতীক) ৩৮৮ ভোট। এনপিপি’র মো. রফিকুল ইসলাম (আম প্রতীক) ৫৬৫ ভোট এবং বিএসপি’র মো. সাব্বিরুজ্জামান (একতারা প্রতীক) ৭৯ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এতে করে জামালপুরের ৫টি আসনে ১৯ প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।