শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ে (বরিশাল ল’ কলেজ) ছাত্রলীগ নামধারীদের হামলায় কলেজ কমিটির সভাপতি, অধ্যক্ষ, অধ্যাপক ও তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত সন্ধ্যা রাতে নগরীর হাসপাতাল রোডের কলেজ ক্যাম্পাসে এ হামলার ঘটনার পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি (আনোয়ার) আরও জানান, ঘটনার সময় আমি কলেজ অভ্যন্তরে বসা ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগ নামধারী আরিফ হোসেন অপুর নেতৃত্বে আজিমসহ ৩০/৪০ জন যুবক কলেজে প্রবেশ করে। তখন অপুসহ ৪/৫ জনে টেনে আমার জামার কলার ধরে একপাশে নিয়ে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। হামলার সময় কথিত ছাত্রলীগ দাবিদার নেতারা বলে, কলেজ কমিটির সবাই সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী, তাই এখন থেকে এখানে কমিটির কোন সিদ্ধান্তে কলেজ চলবে না। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ মোস্তফা জামাল খোকন, অধ্যাপক আ স ম জসিম উদ্দিনকেও মারধর করে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে ক্লাস রুমে ঢুকে তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে কলেজে ভাঙচুর করা হয়। অধ্যক্ষের রুমে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ছবি টাঙানোর কারণেও মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। অধ্যক্ষ মোস্তফা জামাল খোকন জানান, ক্লাস থেকে অধ্যাপক জসিম স্যারকে বের করে মারধর করা হয়েছে। আহত তিন জনের মধ্যে ইব্রাহিম ও সুমনসহ দুইজন মারাত্মক আহত হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন, সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ তার অনুসারীরা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হোসেন অপুর সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই হামলাকারীরা সটকে পরেছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।