লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক বলেছেন, জনগনের ভোটে নয় কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি। প্রশাসনের সহায়তায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভোট কারচুপি করে তাকে পরাজিত করেছেন। বুধবার(১০ জানুয়ারি) দুপুরে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নিজের ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এমনই অভিযোগ তুলে ধরেন লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী কালীগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল হক। ভোট গ্রহনের দিন বিকালে ভোটের ফলাফল বর্জন ও ভোট স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি। ভিডিও বার্তায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক আরো বলেন, জনগনের নিরঙ্কুস সমর্থন ও ভালবাসা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। ভোট গ্রহনকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে আমার প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের শ্যালকসহ ১৮জন নিকট আত্মীয়কে নিয়োগ দেন রির্টানিং কর্মকর্তা। প্রতিপক্ষের আত্মীয়দের পরিবর্তন করার আবেদন করেও কোন কাজে আসেনি। পরে স্বচ্ছ নিরপেক্ষ ভোট গ্রহনের আশ্বাস দেয়া হলেও ভোটের দিন সকালে নৌকার পক্ষ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। নৌকার পক্ষ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ভোট কারচুপি করে পরিকল্পিত ভাবে জনগনের রায়ের পরিবর্তন করে আমাকে পরাজিত করেছে। ভোটের আগের রাতেও দেশের সকল গোয়েন্দা বিভাগের সর্বচ্চ পর্যায়, গণমাধ্যম, এনজিও জরিপেও আমার ভোট ছিল ৭০/৭৫ শতাংশ। অথচ সকালেই আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রিজাইডিংসহ ভোট গ্রহনকারী কর্মকর্তারাই নৌকায় সিল মেরে বক্স ভর্তি করেছেন। যার ভিডিও এবং সংবাদ সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বলেও দাবি করেন সিরাজুল হক। একটি ভোট কেন্দ্রের সরেজমিন দৃশ্যের বর্ননা দিয়ে সিরাজুল হক আরো বলেন, কালীগঞ্জের দলগ্রাম ১ নং কেন্দ্রে দুপুর ২টায় পরে ভোট কাষ্টিং দেখানো হয় ৪শত ৫০ভোট। একই কেন্দ্রে ৪০ মিনিট পরে দেখানো হয়েছে ৭৮০ ভোট। যেখানে ভোটার উপস্থিতি কম। সেখানে ৪০ নিমিটে ৩৩০ ভোট কিভাবে কাস্টিং হয়? এ ঘটনাই প্রমান করে এ ভোটে জনগনের রায় প্রকাশ পায়নি, জনগনের রায়কে পদদলীত করা হয়েছে। রির্টানিং কর্মকর্তা পছন্দমত প্রার্থী নির্বাচন করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। ভোট শুরুর আগে বলা হয়েছে নির্বাচনে পর্যাপ্ত তৎপরাতা থাকবে প্রশাসনের। কিন্তু বাস্তবে একজন পুলিশ সদস্য ও একজন গ্রাম পুলিশ ছিল ভোটে কেন্দ্রের পাহারায়। প্রশাসনের সহায়তায় নৌকার কারচুপি করা এ ভোটের ফলাফল আমি প্রত্যাক্ষন করছি। এ আসনের জনগন আমার সাথে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমিও জনগনের সাথে ছিলাম আছি আগামীতেও থাকব বলে যোগ করেন সিরাজুল হক। সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ তৃতীয় বারের মত নৌকার মাঝি হিসেবে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী কালীগঞ্জ) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ঈগল প্রতীকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সিরাজুল হক।