হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি। কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ আর হিমেল বাতাসে কনকনে হাঁড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। বিকেলে হিমেল বাতাসের সংগে আকাশ থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মত ঘনকুয়াশা ঝড়ছে। সন্ধ্যা রাত থেকে ঘনকুয়াশায় পথ-ঘাট ঢাকা পড়ছে। কুয়াশার কারণে সাধারণ যানবাহনগুলো হেডলাইট জ¦ালিয়ে চলাচল করছে। একান্তু প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘরের বাহিরে বের হয়নি। তীব্র শীতে সাধারণ মানুষ ও গৃহপালিত পশু যাবুথাপু হয়ে পড়েছে। শীত নিবারণে সাধারণ মানুষ খর-কুটরা, বাঁশ ও কাঠের গুঁড়ি জ¦ালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। নতুন বছরের শুরুতে সপ্তাহ জুড়ে পঞ্চগড়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহে আবহাওয়া তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের প্রকৌপ মোটেও কমেনি। এদিকে বাংলা সালের শীতঋতুর পৌষ মাস যেতে বাকি আছে ০২দিন। সেই হিসাবে শীতঋতুর শেষ মাঘ মাসে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে এমনটি বলেছেন আবহাওয়া বিশ্লেষকরা। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়লেও সরকারি-বেসরকারিভাবে এখনো গরীব-দুখী মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র বিলি করা হয়নি। জেলা ত্রাণ ও পূনবাসন কর্মকর্তা (ডিআরও),পঞ্চগড় অফিস সূত্রে জানা গেছে পঞ্চগড়ের ৫টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভাসহ ৪৬টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৬শত পিস কম্বল গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ১ম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার গত ২৪ ঘন্টায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। তেঁতুলিয়া ১ম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে সূর্যের দেখা মিলেনি। আবহাওয়ার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের প্রকৌপ কমেনি। তবে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে শীতের প্রকৌপ আরও বাড়তে পারে।