ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সিংগী গ্রামের একই পরিবারের ৩ ভাই বোন প্রতিবন্ধী। বড় ভাই লিপন দাসের (৩৮) এক পায়ে সমষ্যা। তবু তাকে ভ্যানগাড়ি চালিয়ে দুই যুগের বেশি সময় পরিবারের বেচে থাকার খাবার সংগ্রহ করতে হয়। এদিকে বিছানায় পড়ে থাকা লিপি দাস (২৭) শিমুল দাস সহ (২৩) নিজের পরিবারের জন্য প্রতিনিয়ত ভ্যানগাড়ি চালাতে হয়। সিংগি গ্রামে একটি কুপড়ি ঘরে পরিবারের সবাই কোন রকম ভাবে বসবাস করতো। অসহায় এ পরিবারের দূরঅবস্থা নিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের তত্বাবধানে ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ এস এম জাহাঙ্গির সিদ্দিকি ঠান্ডুর, সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের,সিংগী গ্রামের তরিকুল ইসলাম তুহিনের,রায়গ্রাম ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আক্তারুল ইসলামসহ একাধিক ব্যাক্তির আর্থিক সহযোগিতায় নতুন পাকা ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার লিপন দাসের পরিবারের কাছে অনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ এস এম জাহাঙ্গির সিদ্দিকি ঠান্ডু,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভিন,সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহি পরিচালক শিবুপদ বিশ^াসসহ এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ। নতুন ঘর পেয়ে লিপন দাস জানান, এ ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি। এবার আমার ভাই বোনদের নিয়ে ভালভাবে বসবাস করতে পারবো। একটি ঘরের জন্য পরিবার নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, তাদের কাছে নতুন ঘরটি হস্তান্তর করে আমি আনন্দিত। পরিবারটির প্রতি আমি খেয়াল রাখবো। কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ এস এম জাহাঙ্গির সিদ্দিকি ঠান্ডু জানান ,এ পরিবারটির আর কোন সহযোগীতার প্রয়োজন হলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো।