কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দ্বিতীয় দফা ৫ দিনের টানা শৈত্য প্রবাহে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীতে লোকজন বাড়ি ঘর থেকে তেমন একটা বের হচ্ছে না। কাজ কর্মে গেলেও হাত-পা হিম হয়ে আসায় কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে ফিরে আসতে হচ্ছে। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা না মেলায় সারাদিন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। ফলে বাস ট্রাক মটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চালাতে হচ্ছে। দিন মজুর, নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষেরা শীতের কাপড়ের অভাবে কাজে যেতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কিশামতবানু এলাকার শাজু মিয়া (৬২) জানান, ৪-৫ দিন থেকে সূর্য না ওঠায় হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীতের মধ্যে মাঠে কাজে বের হতে না হতে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠান্ডায় হাত-পা হিম হয়ে আসায় মাঠ থেকে দ্রুত বাড়িতে চলে আসতে হচ্ছে। খামার এলাকার ভিক্ষুক মহর উদ্দিন (৬৫) জানান, গরম কাপড় না থাকায় ছেঁড়া-ফাঁড়া পুরাতন কাঁথা গায়ে জড়িয়ে আগুন জ্বালিযে কোন রকমে ঘরে বসে আছি। ভিক্ষা করতে যেতে না পারায় বৌ-বাচ্চা নিয়ে অতি কষ্ঠে দিনাতিপাত করছি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চিলমারীতে বর্তমানে ১৩ সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিহাজুল ইসলাম এর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ইতোমধ্যে সরকারীভাবে ২ হাজার ৪ শত কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে। তা বিতরণও শেষ হয়েছে। আরো শীতের কম্বলের বরাদ্দের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।