মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনী গ্রামে পরাজিত নৌকা সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী স্বতন্ত্র বর্তমান এমপি হাজ¦ী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে ষোলআনী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বেশকিছু বসত ঘরের টিনের বেড়া ধারালো কিছু দিয়ে কোপানোর অসংখ্য চিহ্ন ও কযেকটি আধাপাকা ভবনের জানালার থাই গ্লাসগুরো ভাঙা ছিলো। যার ফাঁকা অংশ দিয়ে ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর দাবি, নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ায় বর্তমান এমপি'র লোকজন তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। পরবর্তী হামলার শঙ্কায় ষোলাআনী গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবারের সদস্যেরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। নৌকার সমর্থক ষোলআনী গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল প্রধান বলেন, ভোটের দিন সন্ধ্যায় কাঁচি মার্কার সমর্থক ও ইমামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একই এলাকার বাসিন্দা সবুজ দেওয়ানের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন কাঁচি মার্কার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নৌকা মার্কার সমর্থনকারী অন্তত ৫০টি পরিবারের বসত ঘর ভাংচুর চালায়। এ সময় তারা আনুমানিক ২০থেকে ৩০ লাখ টাকার মতো মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। নৌকার পক্ষে কাজ করায় প্রায় ৫০ টি পরিবার তাদের ভয়ে বাড়ি ছাড়া। এখনো তারা তাদের হামলা ভাংচুর অব্যহত রয়েছে। আমরা পুলিশ কে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। তবে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা অসত্য দাবি করে কাঁচি মার্কার সমর্থক ও ইমামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ দেওয়ান বলেন, নির্বাচনে পরাজিত নৌকার প্রার্থীর লোকজন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারাই সহিংসতা চালাচ্ছে। ষোলআনী গ্রামে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রাজিব খাঁন বলেন, ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় যাওয়া হয়। থানায় কোন অভিযোগও নেই।পরিস্থিতি বর্তমানে খুবই স্বাভাবিক রয়েছে।