ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে দিনেদুপুরে হারুন অর রশিদ (৫৫) নামের এক হোমিও ডাক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে রুবেল (৩৫) নামে এক যুবক। ঘটনাটি সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গয়েশপুর বাজারের পরিত্যক্ত সখি সিনেমা হলে সামনে ঘটে। খবর পেয়ে গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন, পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশারসহ পুলিশ ফোর্স ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। দিনেদুপুরে এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে ঘাতক রুবেলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে আগুনে পুরো বাড়িটা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় বাড়ি থেকে রুবেলকে ধরে জনতা বেধড়ক মারধর করা সময় মা বিউটি আক্তার (৪৮) এগিয়ে আসলে জনতা তাকে মারধর করে। মা ও ছেলে দুইজনই গুরুতর জখম হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় তিনজন পুলিশ আহত হন। আহতরা হলেন -পাগলা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম, এসআই মদন চন্দ্র সিংহ ও কনস্টেবল রফিকুল। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। নিহত হারুন অর রশিদ গয়েশপুর বাজারের ফিরোজা হোমিও হল নামে প্রতিষ্ঠানে একজন স্বনামধন্য হোমিও ডাক্তার। গয়েশপুর বাজারে তার একটি বাড়িও রয়েছে। সে একই ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। ঘাতক রুবেলের বাড়ি নিহতের গয়েশপুর বাজারের বাড়ির পাশে। এবং গ্রামের বাড়ি একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ শাহাবুদ্দিন। স্থানীয় পাইথল ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান ঢালী জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তবে কি কারণে এই নৃশংস হত্যাকা- ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানান তিনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন জানান- ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ খাইরুল বাশার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে গুরুতর জখম অবস্থায় আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।