জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা সার কারখানা (জেএফসিএল) গ্যাস সংকটে ইউরিয়া উৎপাদন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয়ায় সোমবার (১৫জানুয়ারী) বিকাল থেকে পুরোপুরি ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। জেএফসিএল সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানসম্পন্ন যমুনা সার কারখানা প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মে. টন ইউরিয়া উৎপাদন করে আসছিল। কয়েক বছর ধরে গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও মেশিনারিজ ত্রুটির জন্য উৎপাদন কমে বর্তমানে ১ হাজার থেকে এক হাজার ২০০ মে. টন পর্যন্ত সার উৎপাদন করে আসছিল। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং কর্তৃপক্ষ গ্যাস স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে সরবরাহ বন্ধ করায় ইউরিয়া সার উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হয়ে আসছে। জেএফসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, যমুনা সার কারখানার সার গুণগত মান অন্যান্য যেকোনো ইউরিয়া সারের চেয়ে ভালো এবং যমুনা সার কারখানা বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্জলের ২০টি জেলায় সারের চাহিদা পূরণ করে থাকে। সামনে ইরি-বোরো মৌসুমে কারখানার সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসিরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। দ্রুত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে পুণরায় উৎপাদন চালুর দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে যমুনা সারকারখানা মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের চাপ প্রয়োজন। গ্যাসের চাপ নেমে আসায় সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে বলে জানান। তিনি আরো বলেন,কারখানার গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং গ্যাস স্বল্পতার কথা জানায়। তাই গ্যাস স্বল্পতায় বিদ্যুৎ ও ইউটিলিটি উৎপাদন চালু থাকলেও সার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। উল্লেখ গত (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গ্যাস সংকটের কারণে কারখানাটির ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া কর্তৃপক্ষ। পরে ৫৭ দিন বন্ধ থাকার পরে গত ১ নভেম্বরের যমুনা সার কারখানা পুনরায় গ্যাস সরবরাহের পর কারখানায় যান্ত্রিক ত্রুটির দেখা দেয়। ১৭ নভেম্বর (শুক্রবার) রাত ১ টায় যান্ত্রিক ত্রুটির সেরে উৎপাদনে যেতে সক্ষম হয়।