স্বামীর দাবিকৃত যৌতুকের টাকা বাবার বাড়ি থেকে না আনায় চম্পা বেগম (২২) নামের দুই সন্তানের জননীকে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সোমবার দিবাগত রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত চম্পা বেগমের মা। ঘটনাটি জেলার বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মনকাঠী গ্রামের। লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে মঙ্গলবার সকালে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাইনুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযোগের তদন্তসহ ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে পাওয়ার পরেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে নিহত চম্পা বেগমের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার মহিষাপোতা গ্রামে তার বাবা আনোয়ার মল্লিকের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যৌতুকের দাবীতে চম্পা বেগমকে হত্যার পর তার স্বামী সুমন বেপারী তাদের দুই বছরের মেয়ে তানহাকে নিয়ে আত্মগোপন করেছেন। নিহত চম্পার মা রেবা বেগম জানিয়েছেন, সম্প্রতি তার মেয়ে জামাতা সুমন বেপারী ঋণগ্রস্ত হয়ে পরে। এরপর থেকেই চম্পাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করা হয়। মেয়ের সুখের কথা ভেবে সুমনকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এতে সে (সুমন) সন্তুষ্ট না হয়ে এক লাখ টাকার জন্য চম্পাকে চাঁপ প্রয়োগ করে। কিন্তু চম্পা তাতে বাঁধা দেওয়ায় সুমন প্রায়ই তার মেয়েকে (চম্পা) শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে গত আটদিন পূর্বে চম্পা তার ছোট মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আসে। রেবা বেগম আরও জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুমন তাদের বাসায় এসে জোরপূর্বক স্ত্রীকে বাড়িতে নিতে চায়। এ সময় তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগ্বিতন্ডা হয়। পরে চম্পা তার দুই বছরের শিশু কন্যা তানহাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে ফিরে যান। সেখানে যাওয়ার পর চম্পাকে অমানুষিক নির্যাতন করে যৌতুকলোভী পাষন্ড সুমন। ওইদিন রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশীরা চম্পাকে অচেতন অবস্থায় বানারীপাড়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃতবলে ঘোষণা করেন।