জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানার মহা-ব্যবস্থাপকের (হিসাব ও অর্থ) বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতিসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কারখানার নির্মান বিভাগসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের তদারককারী সকল বিভাগ বিল পরিশোধের সুপারিশ করলেও তা কাজে আসে না। বিল আটকে রেখে উৎকোচ আদায় করাই তার কাজ। অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করছেন মহা-ব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) ইকবাল সেরনিয়াবাত। কারখানার একটি সূত্র জানায়, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর যমুনা সারকারখার হাউজিং এর টয়লেটের একটি ট্যাংকি মেরামতের জন্য মেসার্স সুমন ট্রেডার্সকে কার্যাদেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিল জমা দেয় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মান বিভাগসহ হিসাব কর্মকর্তা ও অন্যান্য তদারকি কমিটি বিল পরিশোধের জন্য সুপারিশ করেন। সুপারিশের প্রায় ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও আজো ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হয়নি। মেসার্স সুমন ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আবদুল হামিদ অভিযোগ করে বলেন, অফিসের নিয়ম মেনে কাজ শেষ করে বিলের জন্য আবেদন করা হয়। বিল পরিশোধের জন্য কারখানার সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর প্রায় ৩ মাস আগে বিল পরিশোধের জন্য সুপারিশ করে দিয়েছেন। তবুও ১ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ টাকার বিলটি উত্তোলন করতে পারেননি। যমুনা সার কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) ইকবাল সেরনিয়াবাত বিল পেতে টাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন। টাকা দেইনি বলে তার বিলটি আটকে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ছাড়া মেসার্স আবির এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী কামাল হোসেন, মেসার্স রিক্ত এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম ও মেসার্স নিলয় নির্জয় এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজমুল হাসান বাবু একই অভিযোগ করে বলেন, হিসাব ও অর্থ শাখা থেকে টাকা ছাড়া কোন বিলই উত্তোলন করা যায় না। এর একটি বিহিত চান তারা। এ বিষয়ে যমুনা সারকারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) ইকবাল সেরনিয়াবাতের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিষয়টি তার জানা নেই। এ ব্যাপারে যমুনা সারকারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন মুটোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ব্যবস্থা নেওয়া দ্বায়িত্ব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।