কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচরসহ আশেপাশের হাওর এলাকাগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজমান রয়েছে। তবে নিকলী আবহাওয়া অফিসের মো: মাসুম, ওমর ফারুক এই প্রতিবেদককে বলেন গত এক সপ্তাহের মধ্যে ১০.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত সপ্তাহে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রার কারণে হাওরের মানুষের জীবন-যাত্রার মান একেবারেই স্থবির হওয়ার পথে। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে একেবারেই কম। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই শৈত্য প্রবাহের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা নানারকম শীত জনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে এই শৈত্য প্রবাহ যদি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ কোল্ড ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার পর্যন্ত হাওর অঞ্চলের মানুষ সূর্যের দেখা পায়নি। শ্রমজীবি ও গরিব মানুষের শীতবস্ত্র একান্ত প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। সরকার থেকে ইউনিয়ন ভিত্তিক কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু চাহিদার তুলনায় একেবারে কম বলে অনেকে মনে করছেন। এই হাওর বাসিকে যদি শীত বস্ত্র দেওয়া হয় তাহলে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশী উপকৃত হবে। অন্যদিকে সূর্যের আলো না থাকার কারণে কৃষি জমি থেকে শুরু করে সবজি জমিগুলো ঠান্ডার কারণে কৃষকরা জমি থেকে সবজি তুলতে পারছে না এবং শীতে সবজি জমি গুলোতে নানা রোগ দেখা দিচ্ছে বলে অনেক কৃষক ধারণা করছেন।