জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ‘খড়ের স্তুপে আগুন লাগিয়ে দৌড়ে পালানোর সময় রেশমি নামে এক নারীকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নে হাটবাড়ী (মধ্যপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রেশমি বেগম একই এলাকার অটোরিক্সা চালক মাসুদ মিয়ার স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম। স্থানীয় ও শালিস-বৈঠক সুত্রে জানা যায়, ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ী এলাকায় মঙ্গলবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ভুট্টু মিয়ার বসতবাড়ীর ‘খড়ের স্তুপে’ আগুন দেয় প্রতিবেশি মাসুদ মিয়ার স্ত্রী রেশমি বেগম। এ সময় স্থানীয় ফুলু মিয়ার স্ত্রীসহ অনেকেই রেশমি বেগমকে খড়ের স্তুপে আগুন লাগিয়ে চলে যেতে দেখে ডাক চিৎকার করতে থাকে। এ সময় স্থানীয়রা দৌড়ে এসে রেশমি বেগমকে দিয়াশলাইসহ হাতেনাতে আটক করে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় রেশমি বেগমের বিরুদ্ধে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামের বাড়ীতে শালিস বৈঠক বসে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না করার প্রতিশ্রুতি দিলে অভিযুক্ত নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইদ্রিস মিয়া, আফসার আলী ও আলমাজ মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন, গত ২ মাসের মধ্যে হাটবাড়ী এলাকায় খড়ের স্তুপে পর্যায়ক্রমে আগুন লাগে। তবে কে বা কারা এ অগ্নিকা- ঘটায় জানা যায়নি। গতকালে রাতের ঘটনায় তাদের ধারনা ইতঃপূর্বে রেশমি বেগমই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এলাকায় এমন ঘটনা ঘটিয়ে আসিতেছিল। এ-সময় স্থানীয় আ.লীগ নেতা মোস্তাক আহম্মেদ এর সভাপত্বিতে শালিস বৈঠকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম মেলেটারি, সুরুজ্জামান, আজমত আলী সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। ডোয়াইল ইউনিয়নে ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শালিস বৈঠকে প্রমাণ হয়েছে গৃহবধূ রেশমি বেগম খড়ের স্তুপে আগুন দিয়েছে। তাকে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে এমন ঘটনা থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে। পুনরায় এমন ঘটনা ঘটলে তাকে পুলিশ সোর্পদ করা হবে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার এ এস আই জহির রায়হান জানান, আগুনের ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।