জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় মাইকিং করে লাঠি, সোটা, দেশিও অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা এলাকাবাসী বলছেন, নির্বাচনী প্রতিহিংসায় এ সংঘর্ষ। তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছেন পূর্বের শত্রুতার জের ধরে এ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী ও আকন্দ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়ার যায়নি। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন আগ্রাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র নৌকা ও কাঁচি প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। নির্বাচনের ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকালে আকন্দপাড়া এলাকায় কাঁচি প্রতীকের সমর্থক লূৎফর কাজী গংরা নৌকা প্রতীকের সমর্থক আসাদুল হক আশা মেম্বারের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে কাঁচি প্রতীকের সমর্থক লূৎফর কাজী গংরা সন্ধ্যার দিকে মাইকিং করে দুই এলাকার মধ্যে সংঘর্ষের ঘোষণা দেন। পরে বুধবার সকালে দুই এলাকার হাজার হাজার মানুষ লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, ওই দুই এলাকার লোক জনের মধ্যে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে এ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ও দুই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।