নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বেপরোয়া গতির জননী পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে ঢুকে পড়ায় ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় চৌমুহনী চৌরাস্তা আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সামনে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় সংলগ্ন দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এতে মুকুল ফার্মেসী, আবদুর রশিদের মুদি দোকান ও ফারুকের টি-স্টল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতরা হলেন, নজরুল ইসলাম (৫৬), মোক্তার আহমদ (৩৮), হুমায়ুন কবির (৪০), নুর জাহান বেগম (৫৫), ইমাম হোসেন (৩০), গোপাল আচার্য (৫২), নাসির (৩০), হুমায়ুন কবির (৫৩), শ্যামল (৩৭), আবদুর রশিদ (৪০), শওকত হোসেন মুকুল (৫৬) ও কবির (৪০)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চাটখিল থেকে ছেড়ে আসা জননী পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-০৩০৮) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের পিলারে ধাক্কা দিয়ে জনবহুল দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে ওই বাসে ও দোকানগুলোতে থাকা ১২ জন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে মাইজদী ও চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিস, চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে ও বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বেপরোয়া গতির বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে পল্লী বিদ্যুতের একটি পিলারকে ধাক্কা দেয়। পরে পাশের দোকানে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের থানা পুলিশও কাজ করছে।