২০১৩ সালে শিবির ক্যাডারদের হাতে দুই পায়ের রগকাটা যাওয়া রংপুরের কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেনকে ৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মোশাররফ হোসেনের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর উপণ্ডপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার। ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রংপুরের কলেজপাড়া এলাকায় মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা মোশাররফ হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। সে সময় মোশাররফ কারমাইকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০০৭-০৮ সেশনে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হওয়া মোশাররফের গ্রামের বাড়ি নীলফামারী সদর। মোশাররফ হোসেন বলেন, জামায়াত-শিবিরের তা-ব প্রতিহত করতে গেলে ২০১৩ সালে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী, তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। দুঃখে ভরা মোশাররফের জীবন। পায়ের রগকাঁটার ঘটনার পর চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরপরই বাবাকে হারান তিনি। মোশাররফ বলেন, চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেলে, তার শারীরিক অবস্থা দেখে তার বাবা হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। টানাপোড়েনে চলতে থাকে মোশাররফের জীবন। এর মধ্যে বিয়ে করেন তিনি। সংসার জীবনে দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর তার স্ত্রীর ক্যান্সার ধরা পড়ে। দুই সন্তান রেখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোশাররফের স্ত্রী। তার কয়েক মাস পর পিত্তথলির ক্যান্সারে মাকেও হারান মোশাররফ। দুঃখময় জীবনের একটা সময় সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুরকেও হারান তিনি। আর্থিক সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, তার দুই সন্তান একজনের বয়স সাড়ে চার বছর, আরেকজনের বয়স ১৫ মাস। এই দুই সন্তান নিয়ে তিনি যখন দিশেহারা, তখন মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানাই, দোয়া করি। মোশাররফ হোসেন জানান, এর আগে প্রধানমন্ত্রী তার মায়ের চিকিৎসায় ১ লাখ টাকা এবং রগকাটা যাওয়ার ঘটনার সময় তার নিজের চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।