কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন হাওড়ে শীতকালীন সবজি, মিষ্টি কুমড়া ও খিড়া আবাদ করে লাভবান হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। মিষ্টি কুমড়া ও খিড়া চাষের তুলনামূলক ভাবে খরচ কম। ফলনও ভালো এবং লাভও বেশি। পুষ্টিগুনে এ সবজিগুলোর মধ্যে ২টি অন্যতম। নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া ও খিড়া খেলে শরীরের পাশাপাশি ভালো থাকে ত্বক ও চুল। দূর হয় পেটের নানাবিদ সমস্যাও। চিকিৎসকদের মতে মিষ্টি কুমড়া ও খিড়ার মধ্যে এ ও সি ভিটামিন রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়ামও রয়েছে। যা খেলে শরীরের বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে এই সবজিগুলো। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাযায় কৃষকরা প্রতি একরে মিষ্টি কুমড়া ১০০ থেকে ১২০ মন পর্যন্ত ও খিড়া একর প্রতি ১২০ থেকে ১৪০ মন পর্যন্ত হয়ে থাকে। কৃষকরা এবার খিড়া ও মিষ্টি কুমড়া ফলনে খুবই খুশি। প্রতি পিচ মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করে থাকে। আর ১ কেজি খিড়া বিক্রি করে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। ভালো জাতের বিজ পেলে খিড়া ও মিষ্টি কুমড়ার ফলন আরো বাড়তে পারে বলে স্থানীয় কৃষকরা মনে করেন। গতকাল বাজিতপুর হাওড়ে কিছু এলাকার মধ্যে দিঘীরপাড়, আছানপুর, হুমাইপুর, মাইজচরের বাহেরবাওলী, আয়নারগোপ ঘুরে দেখা গেছে শত শত একর জমিতে কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া ও খিরা জমি থেকে তুলে নিয়ে আসছেন। এ ছাড়া নিকলী, কুলিয়ারচর, কটিয়াদী, ইটনা, মিটামইন, ভৈরব সহ সব জায়গায় এই ২টি সবজি আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে অনেকাংশে বেড়েছে এই সবজিগুলোর আবাদ। কৃষকরা আরো জানান, মিষ্টি কুমড়া ও খিড়া চাষে তেমন বেশি পানির দরকার হয় না। সার, নিরানি খরচও কম লাগে। গবাদী পশুর বিষ্টাকে তারা জৈব সার হিসেবে কাজে লাগালে ভালো ফলন হয়। অন্যদিকে ছাতিরচর জোয়ানশাহী হাওরেও এই সবজি ভালো ফলন হচ্ছে। এইসব হাওরে গত বছরের তুলনায় এই বছর মিষ্টি কুমড়া ও খিড়ার চাষ বেড়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলা উপণ্ডপরিচালক মোঃ আবদুস ছাত্তার এই প্রতিবেদককে বলেন কৃষকরা এখন বানিজ্যমুখী। যে দিকে বেশী লাভ হবে সে দিকে তারা মনযোগী হয় বলে উল্লেখ করেন।