বগুড়া জেলার গাবতলী উপজলার বিভিন জায়গাতে এখন মাদকের হটস্পট গড়ে তুলছে মাদক ব্যবসায়ীরা। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা পুলিশ বগুড়ার পুলিশ সুপার (অতিঃ ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী পক্ষ থেকে মাদক দ্রব্যর বিষয়ে জিরো টলারেন্স ও মাদকের সাথে জড়িত থাকল কাউকে ছাড় দেয়া হবে না এমন ঘোষণা থাকার পরেও সেখানে গাবতলী থানার আশপাশে ও পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিক্রি হচ্ছে মাদক। বর্তমানে গাবতলীর পৌর ও সদর ইউনিয়ন, কাগইল ইউনিয়ন, সোনারায় ইউনিয়ন, সুখানপুকুর, দূগাহাটা, গোলাবাড়ী বন্দর, পাঁচ মাইল, নশিপুর, বালিয়াদিঘী, কলাকোপা, তল্লাতল্লা, কালাইহাটা, তরনীহাট সহ আনাচে কানাচে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক। দক্ষিণ গাবতলী একটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থাকলেও মাদক বিরোধী অভিযান নাই বললেই চলে। একদিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদাসিনতা অন্যদিকে একাধিক কর্মকর্তার সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যতা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, এলাকার সন্ত্রাসীদের ছত্রছায়ায় মাদকের বড় বড় চালান এনে নিরাপদে সরবারহ হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। স্থানীয়রা জোর দিয়ে জানান, থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ থাকলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। আর এই সুযোগে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছে মতো চালিয় যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। গত ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গাবতলী থানার রেকর্ড অনুযায়ী মাদক মামলা হয়েছে ১২ টি এর মধ্যে গ্রেপ্তার ২২ জন আর উদ্ধার হয়েছে টেপেন্ডাডল ১০৮৭ পিস, ফেনসিডিল ৩৫ বোতল ,গাঁজা ২০০ গ্রাম ,ইয়াবা ২০ পিস। সোর্সের সূত্র বলছে যেখান এই উপজেলায় ইয়াবা ট্যাবলেট মাসে ৬-৭ হাজার পিচ ,গাঁজা আসে ২৫-৩০ কেজি আর ফেনসিডিলের দাম হাতের নাগালে না থাকায় এই গুলো জেলা সদর থেকে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাবতলী পৌর এলাকার মাদক ডিলারের কাছ থেকে খুচরা মাদক নেওয়া এক ব্যবসায়ী প্রতিবেদককে জানান, বর্তমানে বড় অংকের টাকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করে চলছে মাদক ব্যবসা। আরেক পুরাতন ব্যবসায়ী বর্তমানে সে মাদকের সাথে জড়িত নয় সে জানান, আমি তো আর ব্যবসা করিনা সেটা পুলিশ ও এলাকা মানুষ শুনতে নারাজ ব্যবসার সাথে জড়িত না থাকলেও বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখান, আমি নিজেও জানি মাদক শুধু যুব সমাজ নয় দেশও সমাজ ধ্বংস করে দেয়। এইসব ভয় ভিত্তি মাথায় নিয়ে এলাকা থেকে পালিয়েও রক্ষা হচ্ছে না আমার। আমি পারছি না মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিতে ? অন্যদিকে পারছিনা ম্যানেজকারী দের টাকা দিতে। ম্যানেজকারীদের এই ভয় ভীতি থেকে রক্ষা পেতে আপনারা আমাদের জন্য কিছু একটা করেন যাতে আমরা মাদক থেকে বের হয়ে এসে সৎ, সুস্থ ও সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারি। স্থানীয় সুশীল সমাজর ব্যাক্তিরা প্রতিবেদককে জানান, গাবতলী উপজেলা বিগত দিন গুলো অনেক ভালো ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের সংখ্যা এতোটাই বেড়ে গিয়েছে এতে করে ভবিষ্য প্রজন্মকে নিয়ে আমার এখন অনেক শংকিত। নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ যা দেখার কেউ নেই, আগে পত্র পত্রিকায় দেখতাম মাদক ব্যবসায়ী ৩/৪ জন করে আটক করেছে পুলিশ এখন মাদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বাড়লেও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের কোন নিউজ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। লোকজন চায়ের দাকান আলোচনা করেন পুলিশ ম্যানেজ করেই নাকি মাদক ব্যবসা চলছে তার জন্য এই অবস্থা আমাদের গাবতলীর এ থেকে আমরা পরিত্রান চাই। আপনারা সাংবাদিক আপনারা সমাজের দর্পন আপনারাই পারেন সুস্থ, সুন্দর ও মাদকমুক্ত গাবতলী গড়তে সহযাগিতা করতে। মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা পেতে চায় গাবতলীর মানুষ। মাদক ব্যবসায়ীদর ধরতে এবং মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার বিষয়ে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, বর্তমানে গাবতলী মডেল থানার পুলিশ ব্যাপক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে পুলিশ শহর ও চেকপোস্ট স্থাপন করে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। কোন অবস্থাতেই মাদক ব্যবসায়ীদের ছাড় দেয়া হবেনা। তিনি আরো জানান, মাদক দমনে আমারা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে অনেকেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না সকলের সহযাগীতা নিয়ে মাদক মুক্ত গাবতলী গড়বো ইনশাআল্লাহ।