ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ রেল স্টেশনের প্লাটফর্মের কাছাকাছি আনসার ভিডিপির একজন সদস্যকে ড্রেস পরিহিত লাঠি হাতে প্রতিদিনের ন্যায় দায়িত্ব পালন করতে করছে। দায়িত্বরত এই সদস্য কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের আনসার ভিডিপির একজন প্লাটুন কমান্ডার। তিনি কালীগঞ্জের মল্লিকপুর গ্রামের গোলাম সরোয়ারের ছেলে। দায়িত্ব পালন কারী ব্যাক্তি হলেন শাহিনুর রহমান। তিনি ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ রেল স্টেশনের আওতায় থাকা রেল লাইন পাহারার কাজ করছেন। তারা মোট ১২০ জন আনসার সদস্য বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা জীবনের ঝুকি নিয়ে শিফটিং ভাগ করে রেলের নিরাপত্তার কাজ করছেন। প্রথমে শুধু অবরোধের দিন গুলোতে দায়িত্ব পালন করলেও ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন সকলেই। দায়িত্ব পালনকারী আনসার সদস্য শাহিনুর রহমান পেশায় একজন কৃষক। ৪ জনের পরিবারের তিনিই একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। শুরু থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িক্ত পালনের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোন বেতন ভাতা ও রেশন এখনও পর্যন্ত পায়নি। আর্থিক সুবিধা কবে পাবে তাও বলতে পারছে না এমনকি উপরি মহল ও নাকি বলতে পারেনি যে, তাদের বেবতন ভাতা কবে পাবে। ফলে অনার্স ও মাদ্রাসা পড়ুয়া সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শাহিনুর রহমানকে। অস্থায় ীভাবে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন ও স্থাপন সমূহের সার্বিক নিরাপত্তার কাজে থাকা ১২০ জন আনসার সদস্যরা বেতন ভাতা ও রেশন না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ধার দেনা করে কোন রকম দিনাতিপাত করছেন শাহিনুর রহমানের মতো আবদুর রাজ্জাক,আব্দুল মান্নান,মোঃ জাহিদ হোসেনসহ সকল আনসার সদস্যগণ। দায়িত্বরত পোশাক পরিহিত আবস্থায় লাঠি হাতে বারবাজার থেকে কোটচাদপুর রাঙ্গিরপোতা নামক পর্যন্ত রেল লাইন এলাকায় রাত দিন এরিয়া ভাগ করে দায়িত্ব পালন করে করছেন। দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের খোঁজ খবর নিতে ১২ সদস্যের একটি টহল টিমও রয়েছে। কনকনে এই শীতের রাতেও লাঠি ও টর্চলাইট হাতে বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রিয় সম্পদ রক্ষায় নিষ্ঠার সাথে পাহারা দিচ্ছেন তারা। শর্ত অনুযায়ী প্রত্যেক পিসি/এপিসি ৫ শত ২৫ টাকা, আনসার সদস্যদের ৪ শত ৭৫ টাকা হারে দৈনিক ভাতা ১৫ শতাংশ আনুষঙ্গিক এবং প্রত্যেককে ৩ শত টাকা যাতায়াত ভাতা প্রদানের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তারা এ পর্যন্ত কোন সুযোগ সুবিধা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে ১২০ জন আনসার সদস্য। মোবারকগঞ্জ রেল ষ্ট্রেশনের ঊর্ধতন উপসহকারী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন,মোবারকগঞ্জ এরিয়াতে কর্মরত রেলওয়ে জনবলের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা নিয়মিত নিষ্ঠার সাথে রাত দিন দায়িত্ব পালন করছেন। যে কারণে মোবারকগঞ্জ এরিয়ায় ট্রেন,স্থাপনা ও রেলপথ নিরাপদে রয়েছে বলে আমি মনে করি। কালীগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ফয়সাল মিজান বলেন,কালীগঞ্জে কর্মরত আনসার সদস্যগণ চাল,গম,ডাল,চিনি ও তেল রেশন পাবেন। জেলা স্যার আসলেই বেতন ভাতাও পাবেন। রেশন ও বেতন ভাতা প্রদানের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা তাদের ন্যায্য পাওনা সবই পেয়ে যাবে।