চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী লঞ্চঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে বৈদ্যুতিক শকে মাছ ধরায় দুই জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। জব্দ সাধন হয়েছে নৌকাসহ মাছ শিকার করার সরঞ্জামাদি। সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কাজের ব্যাপারে প্রধান ব্যক্তি (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা। অর্থদন্ড প্রাপ্ত জেলেরা হলেন-মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও গ্রামের মো. সুরুজ মিয়ার ছেলে মো. উজ্জ্বল মিয়া (৩০) এবং একই গ্রামের মো. বাছের মিয়ার ছেলে মো. আসাদ মিয়া (২৫)। বিকেলে এসব তথ্য জানান, অভিযানে অংশগ্রহনকারী হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কাজের ব্যাপারে প্রধান ব্যক্তি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুব রশীদ। তিনি বলেন, রাতে এই দুই জেলে ব্যাটারীচালিত সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক শকে মাছ শিকার করে। সংবাদ পেয়ে নৌ-পুলিশসহ আমরা চরভৈরবী লঞ্চঘাট অঞ্চল থেকে সকাল ৮টায় তাদেরকে মাছ শিকার করার সরঞ্জামাদিসহ আটক করি। এরপর ভ্রাম্যমান আদালতে তাদেরকে অর্থদন্ড প্রদান সাধন হয়। ভ্রাম্যমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশের বাড়তি ডিআইজি মো. কামরুজ্জামান, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ জুবায়ের শিমুলসহ নৌ পুলিশ সদস্যরা।