লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভ্যান চালক মানিকুল ইসলাম হত্যাকান্ডের মুল হোতা সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের পাইকারটারী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। এর আগে শুক্রবার দুপুরে ওই উপজেলার রমনীগঞ্চ থেকে মানিকুলের মাথা বিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর একদিন পর শনিবার দালালপাড়া এলাকা থেকে মাথা, মোবাইল ও হত্যাকান্ডে ব্যবহার ছুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মানিকুল ইসলাম ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী পাইকারটারী এলাকার আবদুর ছাত্তারের পুত্র ও সিরাজুল ইসলাম একই এলাকার কান্দু মিয়ার পুত্র। প্রতিবেশী একজনের ভ্যান চুরির অভিযোগ উঠায় কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলো মানিকুল ইসলাম। সোমবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি ওই উপজেলার রমনীগঞ্জ ও দালালপাড়া এলাকায় হত্যাকান্ডের স্থান দুইটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মানিকুল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্েয গ্রেপ্তার করা হবে। এদিকে গত রোববার সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে মানিকুল ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন শেষে এ সড়ক অবরোধ করেন তার প্রতিবেশীরা। এ সময় মানিকুলের পরিবার দাবী করেন সিরাজুল ও রশিদুল এই দুইজন ভ্যান চালককে গ্রেপ্তার করতে পারলেই এ হত্যাকান্ডের মুল রহস্য বের হবে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে সিঙ্গিমারী গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র বাবুলের একটি ভ্যান চুরি হয়। ওই চুরি ঘটনায় মানিকুল ইসলামে সন্দেহ করে বাবুলের পুরিবার লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে মানিকুল নিখোঁজ হয়। শুক্রবার বিকালে ভুট্টা ক্ষেতে তার মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন। এদিকে গত শনিবার সকালে দালালপাড়া এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ে ছুড়ি, মোবাইল ও গর্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে গর্ত থেকে মাথা উদ্ধার করেন। কি কারণে এ হত্যাকান্ড তা নিশ্চিত না হলেও ধারনা করা হচ্ছে ওই ভ্যান চুরির ঘটনার কারণে মনিকুল হত্যাকান্ডের শিকার হতেও পারেন। ধারনা করা হচ্ছে ওই চুরির ঘটনায় মনিকুলের সাথে আরো যারা জড়িত ছিলেন তাদের সাথে হয়তো বা কোনো দ্বন্দ্ব দেখা দিলে তাকে হত্যা করা হয়। ইতোমধ্যে চুরি হওয়া ভ্যানও উদ্ধার করেছে সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদ। লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্েয একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুত সময়ের মধ্েয গ্রেপ্তার করা হবে।