বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নবম শ্রেণীর ছাত্র কর্তৃক তৃতীয় শ্রেণীর শিশু ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কুলিয়া এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভিকটিমকে গুরুতর ধধজখমী অবস্থায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিমের নানা ও নানী সহ ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ আবুল কালাম ও সীমা বেগমের ছেলে সোহান (১৫) শিশুটিকে পুতুল তৈরির তেনা (ছোট কাপড়) দেয়ার কথা বলে তাদের বসত ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিম গুরুতর জখম হওয়ায় সীমাহীন রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মুমুর্ষ অবস্থায় ভিকটিম ফিরে আসলে প্রথমে তার নানীর চোখে পড়ে। এরপর তাকে নিয়ে দ্রুত মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নিকটস্থ গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তারা জানান ভিকটিম এখনো শঙ্কামুক্ত না। সোহানের মা সীমা বেগম (৪৫) জানান, তিনি সেলাই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাগেরহাট ছিলেন এবং তার স্বামী আবুল কালাম (ট্রাক চালক) ট্রিপে গেছে চিটাগাং। যে কারণে বাড়িতে তার দুই ছেলে দশম শ্রেণীর সোহাগ ও নবম শ্রেণীর সোহান ছিলো। গতকালের ঘটনা শুনে বুধবার সকালে বাসায় আসছেন। তিনি আরো বলেন, তার ছেলে যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ। থানা পুলিশ পরিদর্শক আশ্রাফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে সোহান (১৫)'কে আটক করা হয়েছে। যেহেতু বয়স কম সে মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।