কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ‘সর্বাধিক নিরাপদ প্রতিষ্ঠানিক প্রসব-২০২৩’ ক্যাটাগরিতে জেলায় শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছে। গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাসিক সমন্বয় সভায় প্রসব সেবায় শ্রেষ্ঠ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ডা. নূর এ আলম খানের হাতে পুরষ্কার হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। এ সময় অন্যান্য ক্যাটাগরিতেও জেলার ১৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে পুরস্কৃত করা হয়। ডা. নূর এ আলম খান ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি গর্ভবর্তী, শিশু, বয়স্ক রোগিদের আলাদা আলাদা ভাবে চিকিৎসা সেবার প্রসার শুরু করেন। যার ফলে নরমাল ও সিজার ডেলিভারিতে গর্ভবতী রোগিদের সেবার মান বৃদ্ধি পায়। এই হাসপাতালে ১১ জন চিকিৎসক ও ৩১ জন দক্ষ নার্স মিডওয়াইফসহ জরুরি ও বহির্বিভাগে রোগিদের নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন ৬-৭শ রোগি এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন। প্রসুতি রোগিদের জন্য ১১০টাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার ব্যবস্থা এবং শিশুদের কেএমসি কর্ণার রয়েছে। এছাড়াও টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসাও প্রদান করা হয় নিয়মিত। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর এ আলম খান বলেন, অতীতের যে কোন সময়ের থেকে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত হয়েছে। ২০২২ সালেই এই হাসপাতালে ১ হাজার ১৭৯জন গর্ভবর্তী রোগির নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। একই বছর ১১২জন গর্ভবর্তী রোগিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে সেবা প্রদান করেছি। আমরা সকলেই সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি রোগিদের আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য। তিনি আরও বলেন, ‘সর্বাধিক নিরাপদ প্রতিষ্ঠানিক প্রসব-২০২৩’ তে জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করার পিছনে হাসপাতাল স্টাফদের অবদান অনেক। সকলের সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে। এই পুরস্কার ভবিষ্যতে আমাদের কাজের গতিকে বহু গুনে বাড়িয়ে দিবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।