কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একদিকে শীতের তীব্রতা অন্যদিকে পদ্মা নদীতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ২ সপ্তাহে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকা, হাটখোলা ও কোলদিয়াড় গ্রামের বেশ কিছু আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রায়টা-মহিষকুন্ডি নদী রক্ষা বাঁধসহ ভারত থেকে আসা বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে এসব স্থাপনার সঙ্গে সঙ্গে বিলীন হয়ে যাবে মরিচা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। নদীভাঙ্গন রোধে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন নতুন সংসদ সদস্য। এ বছর বন্যার পানি গত বছরের মতো বৃদ্ধি না পেলেও পানি নামার অনেক পরে পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। মরিচা ইউনিয়নের ভুরকা-হাটখোলা থেকে কোলদিয়াড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ৪ ফসলি জমি ও বাগান। ৪ ফসলি জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।এলাকাবাসীরা জানান, নদী ভাঙ্গনের তীব্রতার কারণে বাধেঁর সন্নিকটে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যদি এই বাঁধটি ভেঙ্গে যায় তাহলে এই এলাকাটি বিলীন হয়ে যাবে। অপরিকল্পিত বালি উত্তোলনের ফলে নদীর দিক পরিবর্তন হয় যার কারণে অসময়ে নদী ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষা করা না গেলে বৃহত্তর খুলনা বাসীর মানুষ হুমকির মুখে। আবাদি জমি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। আবারও শুরু হয়েছে নতুন করে নদীর ভাঙ্গন স্থায়ী বাঁধে সমাধান না হলে বাড়িঘর এখন হুমকির মুখে। হুমকির মুখে রয়েছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের মাঝে ঘরবাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা হারানোর আতঙ্ক বিরাজ করছে। দৌলতপুর (৭৫ কুষ্টিয়া-১) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্ধতর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, নদী ভাঙন রোধে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। শুধু আশ্বাস নই, বাঁচতে চাই দৌলপুরের পদ্মাপাড়ের মানুষ। অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন বন্ধের ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি সকলের।