উপকূলীয় উপজেলা খুলনার পাইকগাছায় দিনরাতে ঘনকূয়াশা তার উপর গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টিতে নি¤œআয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। শীত তীব্র খেকে তীব্র হয়েছে। গত দুদিন গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি আর মৃদ বাতাসে শীতের তীব্রতায় বেকায়দায় পড়েছেন নি¤œআয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। দেখা দিয়েছে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রাদূর্ভাব। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সারাদেশের ন্যায় মৌসুমের শীত জেঁকে বসেছে বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় উপজেলা পাইকগাছায়। সারাদিন ঘনকূয়াশা আর হিমেল বাতাসে শীতের প্রচন্ড তীব্রতার কাছে প্রাণীকূল যেন পরাস্ত হচ্ছে। দিনেও রাতে ঘনকূয়াশা তার উপর গত দুদিন রাতদিন গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি মানুষকে করেছে কাবু সারাদিন সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে নি¤œআয়ের ও শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কয়েকজস দিনমজুর জানান, প্রতিদিন কাজ করে সংসার চালাতে হয়। প্রচন্ড শীতের কারণে স্বাভাবিক কোনো কাজ করতে পারছি না। আমাদের মত শ্রমজীবী সবাই শীতের কারণে বেকায়দায় পড়েছে। এদিকে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শীতে দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, সর্দীকাশি, এলার্জি, টনসিল ও চর্মরোগ সহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দূভাব। যার বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গৃহবধূ মুনিশা বেগম জানান, আমার বাচ্চাটি গত ৪/৫ দিন ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতের তীব্রতা এতবেশি যেন কোন ওষুধ কাজে আসছে না। মেডিকেল অফিসার এমকে রানা হক বলেন, শীত ও ঘনকূয়াশার কারণে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ ধরণের সমস্যায় বেশিরভাগ আক্রান্ত হয় শিশুরা। তিনি ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে শিশুদের সুরক্ষা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে খালি পায়ে না হাঁটা, বাইরে কম বের হওয়া, ঠান্ডা বাতাস না লাগানো, মোটরসাইকেল জাতীয় যানবাহন না চড়া, বিশুদ্ধ হালকা উষ্ণ গরম পানি খাওয়া, গরম কাপড় ব্যবহার করা সহ শিশুদের তাপযুক্ত স্থানে রাখার জন্য পরামর্শ দেন।