কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের ক্যান্সারে আক্রান্ত ৪বছর ৩মাসের বয়সী ফুটফুটে শিশু সারা বাঁচার জন্য বিছানায় ছটফট করছে। অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা চলছে না। আর একটু সাহায্য-সহযোগিতা পেলে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠত ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সারা। মাত্র ৪ বছর বয়সী ফুটফুটে শিশু সারা যখন খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকার কথা, তখন সে হাসপাতালের বেডে শুয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে। কিন্তু দারিদ্রতা তার সকল চলার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।সারা হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বীরকাটি হারী গ্রামের হতদরিদ্র সবুজ মিয়া ও ফাতেমা বেগমের কন্যা।
সারার বাবা সবুজ মিয়া বলেন,কলিজার টুকরো সন্তানকে কীভাবে বাঁচাবো, কীভাবে চিকিৎসা করাবো কোনো কিনারা পাচ্ছি না। সহায় সম্বল যেটুকু ছিল তা বিক্রি করে এ পর্যন্ত চিকিৎসা করিয়েছি। মেয়ের মুখের দিকে তাকালে আমার বুকটা ফেটে যায়। হাসিখুশি চঞ্চল আমার ছোট্ট মা মনির আজ এই মরণব্যাধি হয়েছে। আমার সামনেই সে রোগের ছটফট করে।আমি বাবা হয়ে তার চিকিৎসা টুকু করাতে পারছি না।
জরুরি ভিত্তিতে একটি পরীক্ষা করতে হবে। সেজন্য ১৫০০০/- হাজার টাকা লাগবে। ডাক্তার বলেছেন, পরীক্ষার পরে চিকিৎসা চলবে। আনুমানিক ০৪ লক্ষ টাকা লাগবে। এমন সিচ্যুয়েশনে কাছে মা-বাবা দুজনেই হিমসিম খাচ্ছেন! এ শিশুটির জন্য হৃদয়বান ব্যক্তিবর্গের কাছে আর্থিক সহযোগিতার জন্য আবেদন পেশ করি। ইতোমধ্যেই শিশুটির চিকিৎসার জন্য লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়ে গেছে। সারা'র বাবা আর কোনো ভাবেই টাকার ব্যবস্থা করতে পারছে না। তাই, হৃদয়বান ব্যক্তিবর্গ ও সহৃদয় প্রবাসী ভাইবোনদের কাছে তার করুণ কণ্ঠে কাতর মিনতি, আপনারা শিশুটির দ্রুত চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। সহযোগিতা পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বর : ০১৭৪৩৯৫১৫০৯