মালয়েশিয়া প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা মামুন খান মোবাইল ফোনে আর্তনাত করে বলেছেন আমার নিস্পাপ তিন সন্তানের ভবিষ্যত এখন কি হবে। কে তাদের দায়িত্ব নিবেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশে নারী নির্যাতনের আইন থাকলেও কেন পুরুষ নির্যাতনের আইন হচ্ছেনা। প্রবাসী মামুন খান জেলার হিজলা উপজেলার বদরপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হক খানের ছেলে। তার যথাক্রমে-১০, ৮ ও ৬ বছরের তিনটি ছেলে রয়েছে। মামুন খানের অভিযোগ, কর্মের সুবাধে বিগত পাঁচ বছর পূর্বে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। এ সুযোগে তার স্ত্রী একই এলাকার আবদুল মান্নান ফরাজীর মেয়ে তানজিলা বেগম পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। গ্রামের যুবকরা সম্প্রতি সময়ে হাতেনাতে তানজিলা বেগমকে তার পরকীয়া প্রেমিক একইগ্রামের রাজ্জাক মুন্সির ছেলে ডালিম মুন্সিসহ আটক করে। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে ঘরোয়া শালিস বৈঠকে বিষয়টি সমাধান করা হয়। ওইসময় তানজিলা বেগম মুচলেকা দিয়েছে সে আর ডালিম মুন্সীর সাথে যোগাযোগ রাখবেন না। এরপরেও তারা পরকীয়া চালিয়ে যাচ্ছিলো। প্রবাসী মামুন খান আরও জানান, গত একমাস পূর্বে তিনি ছুটিতে গ্রামে এসে তানজিলার মোবাইল ফোনের একমাসের কললিস্ট উঠিয়ে দেখতে পান ডালিমের সাথে তার স্ত্রী প্রতিদিন একাধিকবার যোগাযোগ করেছে। এনিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ দেখা দিলে তানজিলা জানায় তাকে ডালিম ফোন দিয়ে বিরক্ত করে। পরে উত্যক্তের ঘটনায় তানজিলা বাদি হয়ে হিজলা থানায় ডালিম মুন্সীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৫দিন পূর্বে তিনি (মামুন) মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর তানজিলা তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে থানায় গিয়ে ডালিমের বিরুদ্ধে তার পূর্বের দেওয়া লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। অভিযোগে আরও জানা গেছে, পরকীয়ার ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে উল্টো তানজিলা বেগম বাদি হয়ে প্রবাসী স্বামী মামুন খান ও তার বড়ভাই আতাহার খানের বিরুদ্ধে বরিশাল জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের (সিনিয়র সহকারী জজ) কাছে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। একইসাথে ব্র্যাকের লিগ্যাল এইড মুলাদী অফিসে অনুরূপ আরো একটি অভিযোগ দিয়ে প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানী শুরু করেছেন। তিন সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন রেমিট্যান্স যোদ্ধা মামুন খান মোবাইল ফোনে তার স্ত্রীর দুটি অভিযোগ সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি করেছেন। প্রবাসীর অভিযোগের ব্যাপারে তানজিলা বেগমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (০১৩০৮-১২৪২০৯) ও ডালিম মুন্সীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (০১৭২১-০১৬৮২১) নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তাদের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।