বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ছয় দফা দাবিতে সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার বেলা ১১ টায় নগরীর ফকিরবাড়ি রোডস্থ বাসদের জেলা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মাসুম গাজীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুম গাজী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুকুমনি, ইউনিয়নের উপদেষ্টা ও বাসদের জেলা শাখার সদস্য দুলাল মল্লিক, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুম গাজী ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল-প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মূল বেতনের বৃদ্ধিকৃত ২৫ শতাংশ'র বকেয়া ১৫ শতাংশ বেতন পরিশোধ করা, যুগোপযোগী বেতন স্কেল চালু করা ও অবিলম্ভে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়া, ছুটি দেওয়া নিয়ে অনিয়ম দূর করা ও অর্জিত ছুটির মজুরির হিসেবে বছরান্তে পরিশোধ করা, কোম্পানির লভ্যাংশে শ্রমিকের অংশ বেতনের সাথে পরিশোধ করা, প্রতি শিফটে আট ঘন্টা ডিউটি, ওভারটাইমে মূল বেতনের দ্বিগুণ মজুরি প্রদান করা এবং সব শিফটে নাস্তার ব্যবস্থা করা, অব্যাহতি প্রদান করলে বা স্বেচ্ছায় অবসরে গেলে শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিক কর্মচারীদের সমুদয় পাওনাদি পরিশোধ করা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে সভাপতি বলেন, আমরা বরিশাল নগরীর সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শ্রমিক-কর্মচারীদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম করে আসছি। ২০২০ সালের মার্চ মাসে হঠাৎ করে মালিক কারখানা বন্ধ করে দেয়। যারপর ১১ মাস শ্রমিকরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করার পর মালিক কারখানা পুনরায় চালু করতে বাধ্য হয়। ২০২১ সালে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দসহ আন্দোলনকারীদের সাথে বৈঠকে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ছয়দফা দাবি মেনে কারখানা চালু করে। এই ছয়দফার মধ্যে অন্যতম ছিল নয় মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ। যা অদ্যবর্ধি কার্যকর করা হয়নি। নেতৃবৃন্দরা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পূর্বের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ যুগোপযোগী বেতন স্কেলে বেতন দিতে হবে। আর তার ব্যাত্যয় হলে শ্রমিকদের সামনে রাজপথে অবস্থান নেয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকবেনা। আর এই ন্যায্য দাবি আদায়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের গেটে মানববন্ধন এবং ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দাবি মানার ঘোষণা না আসলে সড়কে অবস্থান কর্মসূচিসহ কঠোন আন্দোলনের ঘোষণা করা হয়।