পাবনার চাটমোহরে মা ও তার শিশু সন্তানকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতের কোন এক সময়ে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে গৃহবধু লাবনী খাতুনকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় বাড়ির ছাগলের ঘর থেকে ও তার শিশু সন্তান রিয়াদকে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ের একটি মেহগনি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। রিয়াদের বাবা আবদুল রশিদ মালয়েশিয়া প্রবাসী। পুলিশ হত্যার কারণ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে। ধারনা করা হচ্ছে অর্থ-সম্পদ লুটপাট করতেই দুর্বৃত্তরা মা ও ছেলেকে হত্যা করেছে। অন্য কোন বিষয়ও থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারনা। চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে। নিহতরা হলেন লাবনী খাতুন (৩৫) ও তার সন্তান রিয়াদ হোসেন (৮) দিঘুলিয়া গ্রামের আবদুর রশিদের স্ত্রী-সন্তান। রশিদ দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফৈলজানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, সকালে মা ও ছেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। আমাদের জানামতে কারো সঙ্গে শত্রুতা ছিল না তাদের। কে বা কারা তাদের এভাবে হত্যা করেছে, সেটা পুলিশ তদন্ত করে বলতে পারবে। স্থানীয় মেম্বার মো. নান্নু বলেন, ওই বাড়িতে ওই মহিলা, তার শিশু ছেলে ও শ্বাশুড়ি বসবাস করতেন। মেয়ে রিয়া পাশের একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় থেকে পড়ালেখা করে। বাড়ি পাকাকরণের কাজ শুরু করার প্রস্তুতি চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে-কেউ হয়তো টাকা পয়সা চুরি বা ডাকাতি করতে গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। মহিলা মরদেহ ছাগলের ঘরে পড়ে ছিল এবং ছেলেটির মরদেহ পাশের এক মেহেগনি গােেছ ঝুলছিল। চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তরিত বলা যাবে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম বলেন, মা ও সন্তানকে নৃশংসভাবে মারা হয়েছে। কারা, কেন কিভাবে মারছে-এটা বের করতে আমাদের সময় লাগবে। ইতোমধ্যে কিছু ক্লু আমরা পাচ্ছি। আমরা একেবারে নিবিড়ভাবে আমরা তদন্ত করতে মাঠে নেমেছি। ডিবি আছে, ডিএসবি আছে, থানা পুলিশ আছে। আমরা সবাই কাজ করছি। আশা করি শীঘ্রই আমরা এই হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্ধার করতে পারবো। অনেকগুলো ক্লু আছে। পরে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।