ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার গুড়পাড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার একটি পান বরজ থেকে সালমা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ ও এলাকাবাসী। নিহত সালমা খাতুন একই গ্রামের তরিকুল ইসলামের স্ত্রী ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার খলিষাকুন্ডু গ্রামের মৃত হায়দার আলীর মেয়ে। নিহত সালমা দুই সন্তানের জননী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত’র স্বামী তরিকুল ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নিহতের স্বামী তরিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাত থেকে স্ত্রী সালমা খাতুনকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। রাতে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোাঁজ করেও পাইনি। ওই এলাকার বাসিন্দা মণ্টু মিয়া জানান, সকাল ১০টার দিকে ৬/৭ বছরের একটি বালক বাড়ীর কাছাকাছি তরিকুলের পান বরজে সালমার লাশ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সাফা সুলতান জানান, নিহত সালমার গলার চারি পাশে গভীর কালো দাগ ও পাশেই একটি ঘাস মারা বিষের বোতল পড়ে ছিল। নিহতর নাক, চোখের পাতা ও একটি কানের পাতা ছোট কোন প্রাণীতে খেয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, নিহতের স্বামী তরিকুল খুবই সহজ সরল। এ ঘটনা কেন বা কিভাবে ঘটলো তা তিনি বলতে পারেননি। তবে সালমাকে হত্যা করা হতে পারে বলে গ্রামবাসি ধারণা করছে। নিহত সালমার মা হালিমা খাতুন ও বোন নাজমা বেগম অভিযোগ করেন, স্বামী তরিকুল তাকে খুন করেছে। সালমাকে প্রায় নির্যাতন করাতো স্বামী তরিকুল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের আনেকেই বলেছেন, সালমা খাতুন গৃহবধু হলেও উশৃংখল প্রকৃতির ছিলো। পরকিয়ার বিরোধের কারণেও হত্যাকা-টি সংঘটিত হতে পারে বলে তাদের ধারণা। কোটচাঁদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুন্না বিশ^াস ও ওসি সৈয়দ আল মামুন খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি সৈয়দ আল মামুন শুক্রবার বিকালে জানান, এ ঘটনায় নিহতর স্বামী তরিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। হত্যার উপযুক্ত তথ্য বা অভিযোগ পাওয়া গেলেই প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।