বসুন্ধরা কিংসকে হারানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছিল আবাহনী লিমিটেড। হারাতে পারলে প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও জমিয়ে তোলা যেতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দলের। কিংস আগের মতো দাপট দেখিয়ে ম্যাচ জিতেছে। দুই ব্রাজিলিয়ানের লক্ষ্যভেদে আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়ে অস্কার ব্রুজনের দল শিরোপা দৌড়ে আরও এগিয়ে গেলো। কিংস লিগে ৫ ম্যাচে পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রাজত্ব করছে। সমান ম্যাচে আবাহনী দ্বিতীয় হারে আগের ৭ পয়েন্টে তৃতীয় স্থানে থেকে আরও পিছিয়ে পড়লো। গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে কিংস রাজত্ব করলেও গোলের সুযোগ প্রথম পেয়েছিল আবাহনীই। ম্যাচ ঘড়ির ১২ মিনিটে আবাহনী ভালো সুযোগ পায়। রহমত মিয়ার থ্রো-ইন থেকে মোহাম্মদ হৃদয়ের ডান প্রান্তের মাপা ক্রসে ওয়াশিংটনের জোরালো হেড গোল লাইন অতিক্রম করার মুহূর্তে গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান। এরপর থেকে কিংস গোলের আক্রমণে এগিয়ে। ১৭ মিনিটে দোরিয়েলতনের সঙ্গে বোঝাপড়া করে রবিনিয়োর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়। ৬ মিনিট পর কিংস আবারও সুযোগ পায়। রবিনিয়োর প্রায় বাইলাইন থেকে করা ক্রসে রাকিব লাফিয়ে উঠে লক্ষ্যে হেড নিলেও গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল দারুণ দৃঢ়তায় ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোল হতে দেননি। ২৬ মিনিটে কিংস গোলখরা কাটায়। রবিনিয়োর দারুণ এক গোলে এগিয়ে যায় তারা। মিগেলের কর্নারে দোরিয়েলতেনর হেডে রবিনিয়ো ওভারহেড কিকে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। ৩৯ মিনিটে রবিনিয়োর পাসে দোরিয়েলতন বক্সে ঢুকে জোরালো শট নিলেও তা গোলপোস্টে আটকে যায়। এক গোলে পিছিয়ে থেকে আবাহনী বিরতির পর শোধ দেওয়ার কম চেষ্টা করেনি। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় আর গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকোর দৃঢ়তায় হয়নি। ৫১ মিনিটে আবাহনী গোল শোধ দেওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। রহমতের লম্বা থ্রো-ইন থেকে হৃদয়ের হেডে এনামুল গাজী ৬ গজের প্রান্তে লক্ষ্যে হেড নিতে পারেনি। ৬০ মিনিটে মেহেদী হাসান রয়েলের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়। ৬ মিনিট পর কর্নেলিয়াস বাঁপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে জোরালো শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ৭২ মিনিটে কিংস আবারও দাপট দেখিয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। তিন ব্রাজিলিয়ানের ঝলকে দ্বিতীয় গোল আসে। রবিনিয়োর পাসে দোরিয়েলতন ও মিগেল দামাসেনো বল দেওয়া-নেওয়া করে বক্সে ঢুকেন, লক্ষ্যে শটটি নেন মিগেলই। ৮১ মিনিটে জোনাথনের কর্নারে আসাদুজ্জামান বাবলুর দারুণ হেড গোললাইন থেকে মিগেল ক্লিয়ার করেন। পরের মিনিটে এনামুল গাজীর শট জিকো প্রতিহত করেন। প্রতি আক্রমণে মিগেলের শট সোহেল ফিরিয়ে দিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি। ৮৯ মিনিটে কর্নেলিয়াসের শট জিকো হাত উঁচিয়ে রক্ষা করে আবাহনীকে গোল শোধ দেওয়ার শেষ সুযোগটি নস্যাৎ করে দেন। ম্যাচে মাঝেমধ্যেই দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। যার কারণে রেফারিকে বেশ কয়েকটি হলুদ কার্ড দেখাতে হয়েছে। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পর কিংসের ডিফেন্ডার বোবুরবেক তাকে কিছু একটা বলেন। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখান।