বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার বুকে লাথী মেরে আহত করেছে। শিক্ষক স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়াতে আহত ছাত্র শিক্ষকের ভয়ে দু’দিনধরে বাড়িতেবসে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোটালীপাড়া উপজেলার পিরেরবাড়ি গ্রামের শ্রীবাস মল্লিকের ছেলে জিৎ মল্লিক আলৈলঝাড়ার বাহাদুরপুর গ্রামে খালা (মাসি) বাড়ি থেকে উপজেলার বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে লেখা পড়া করছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রশান্ত কুমার জয়ধর নবম শ্রেণীর ক্লাশে যান। এ সময় ওই ক্লাশের শিক্ষার্থী জিৎ মল্লিক ক্লাশের বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলো। এদেখে শিক্ষক প্রশান্ত কুমার জয়ধর ক্ষিপ্ত হয়ে জিৎ মল্লিকের চুলধরে বেঞ্চের উপর উঠে বুকের উপর লাথি দিয়ে ফেরে দেয়, এতে শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। শিক্ষক প্রভাবসালী হওয়াতে আহত ছাত্রকে চিকিৎসা জন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে পারেনাই। আহত ছাত্রকে তার বাড়িবসে গ্রাম্য ডাক্তার দারা চিকিৎসাকরাতে হচ্ছে। আহত শিক্ষার্থী জিৎ মল্লিক বলেন, আমি ক্লাশের বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলাম। এমন সময় স্যার (শিক্ষক) প্রশান্ত কুমার জয়ধর আমাকে চুলধরে বেঞ্চের উপর উঠে আমার বুকের উপর লাথি দিয়ে ফেরে দেয়। আহত শিক্ষার্থীর খালা (মাসি) প্রমীলা জয়ধর বলেন, আমার বোনের ছেলে আমাদের বাড়ি থেকে লেখাপড়া করছেন। শিক্ষক তাকে ক্লাশে বসে চুলধরে বেঞ্চের উপর উঠে বুকের উপর লাথি মেরে আহতকরে। শিক্ষক প্রভাশালী হওয়াতে তার ভয়ে বাড়িতে বসে গ্রাম্য ডাক্তার দেখিয়ে দুদিন ধরে ওষুধ খাওয়ালে কোন উন্নতি নেই। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবী করছি। অভিযুক্ত শিক্ষক প্রশান্ত কুমার জয়ধর বলেন, আমি ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি গিয়ে ছিলাম এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঘটনাটি মিমাংশা করে দেওয়ার কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্য রঞ্জন বাড়ৈ বলেন, ছাত্র জিৎ মল্লিক আহত বিষয়টি আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সকলকে জানিয়েছি। কমিটি এখন কি ব্যবস্থা নিবে সেটা আমি বলতে পারছিনা। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জগদীশ ভক্ত বলেন, আমি বিষটি জানার পরে শিক্ষাথর্ ীর অভিভাবদের নিয়ে শনিবার বিকেলে এক জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। সভার সকলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিতে বলবে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।