টো ক্রাশিং ইয়র্কার যাকে বলে সেটাই করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। তৃতীয় দিনের ভয়ানক ডেলিভারিতে ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন শামার জোসেফের মাঠেই নামার কথা ছিল না। মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান স্পিড স্টার মাঠে ঠিকই নামলেন। তার পর এমন এক স্পেলের জন্ম দিলেন; যা ক্রিকেট রোমান্টিকদের মনে থাকবে আজীবন। তার বোলিং বীরত্বে ২৭ বছর পর অজিদের মাঠে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চোট পাওয়ার পর ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা থাকলেও চিকিৎসকের সেবায় মাঠে ফেরার মতো ফিট হতে পেরেছেন তিনি।তার পর ১১.৫ ওভারের স্পেলে ৭ উইকেট নিয়েছেন। চোটআক্রান্ত অবস্থায় একমাত্র ডিনার ব্রেকেই যা বিশ্রাম পেয়েছিলেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শামার জোসেফ জানিয়েছেন, এদিন মাঠে নামার কথা ছিল না তার, ‘সত্যি কথা হচ্ছে সকালে আমার মাঠেই নামার কথা ছিল না। চিকিৎসককে কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমার কাছে তিনি একজন বিস্ময়কর চিকিৎসক।’ এই চিকিৎসকই মূলত শামার জোসেফকে মাঠে নামার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তাকে বলেছিলেন, ‘তিনি আমাকে বলেছিলেন মাঠে একটা কারণ নিয়ে অন্তত নামতে। হোক না সতীর্থদের প্রেরণা জোগাতে। তার পর আমি নামলাম। অবশ্যই সে আমার পায়ের আঙুলে কিছু একটা করেছে। জানি না সে কী করেছে, তবে সেটা কাজে দিয়েছে। তাই মাঠে নেমে ম্যাচটা সতীর্থদের জন্য পক্ষে আনার ওই সময়টা আমাদের কাছে ছিল।’ ২১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৮ উইকেট। জোসেফ জানালেন, অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের কাছে তার অনুরোধ ছিল একটাই- শেষ উইকেট পর্যন্ত তাকে বল করতে দিতে হবে। শামার বলছিলেন, ‘মূল কথা হলো সার্বিকভাবে পজিটিভ থাকা। আমি সেভাবে ক্লান্তও ছিলাম না কারণ দলের জন্যই এটা করতে চেয়েছি। অধিনায়ককে শুধু বলেছি, শেষ উইকেট না পড়া পর্যন্ত বল করতে চাই।’