কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে নির্মিত আশ্রায়ণ প্রকল্পের ব্যারাকগুলো নির্মাণের ১৩ বছর পেড়িয়ে যেতে না যেতেই বাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার হত দরিদ্র-গৃহহীন মানুষের মাথা গোজার ঠাই করে দেওয়ার জন্য কাপাসিয়া-হরিপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ২০১০ সালে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রায়ণ প্রকল্পের অধিনে ৪৬০ পরিবারের জন্য ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরে ৪৫, কাজিয়ার চরে ১৬০, ভাটিবুড়াইলে ১৫০ এবং হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে ১০৫টি। এগুলোতে স্বপ্নের ঠিকানা হিসেবে ঠাই পায় ৪৬০ হত দরিদ্র পরিবার।
এসকল হতদরিদ্র গৃহহীন মানুষ খুঁজে পেয়েছিল স্বপ্নের ঠিকানা। কিন্তু নির্মাণের ১৩ বছর পেড়িয়ে যেতে না যেতেই সেস্বপ্ন চুড়মার হয়ে যায়। সরেজমিন কাপাসিয়ার কয়েকটি ব্যারাক পরিদর্শন করে দেখা গেছে ব্যারাকগুলো বর্তমানে জীর্ণ-শীর্ণ দশা। টিনের বেড়া ও ঘরের চাল চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ঘরগুলোতে বেড়া না থাকায় ও চালের টিন ফুটো হওয়ায় চলতি শীতে অবস্থানরতরা ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়ছেন। বাদামের চরের ব্যারাকে অবস্থানরত রেহেনা, ফাতেমা, আছমা, জাহানার, দুলা, জাহাঙ্গীর ও মাইদুলসহ অনেকে জানান, ঘরগুলোতে অবস্থান করা দায়।
শীতের সময় কি বৃষ্টির সময়েই কি হামরা ঘরের ভিতর থাকবার পাই না। ঠান্ডা ও বৃষ্টির পানি বিছনে-পাতি ভিজে দেয়। তোমরা কন বাহে এই অবস্থায় কেমন করি ঘরগুলোতে থাকি। সরকার ব্যারাকগুলো ভালো করিও দেয় না। হামড়া দাবি করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হামাক ঘরগুলো দিছে। নয়া করি ঘরগুলো তুলিয়া দেউক।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, ব্যারাকগুলো নতুন ভাবে নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, আমি নিজে উল্লিখিত আশ্রায়ণ প্রকল্পের ব্যারাকগুলো পরিদর্শন করেছি। বাস অনুপযোগী ব্যারাকগুলো নুতন করে নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অবহিত করেছি। জরুরি ভিত্তিতে ঘরগুলো নির্মাণ হতে পারে।