কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর সরারচর রেলষ্টেশনটি একটি ঐতিহ্যবাহী ষ্টেশন। গত এক যুগ ধরে এই ষ্টেশনটি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই ষ্টেশনটি প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরাতন ষ্টেশন। ষ্টেশনের উপরের টিনগুলো কয়েক হাজার বড় বড় ছিদ্র হয়ে পড়ে রয়েছে। ষ্টেশনের চর্তুপাশে যেন একটি গুদামাগার ও ময়লা আর্বজনা যুক্ত। যাত্রীরা বাথরুমে গেলে মনে হয় যেন একটি আর্বজনাযুক্ত দেশে এসেছেন। বৃষ্টির সময় যাত্রীরা প্রায়ই সময়ই ভিজে ট্রেনে ভ্রমণ করতে হয়। ষ্টেশন মাষ্টার ও অধস্তন কর্মচারীদের ষ্টেশন সম্পর্কে কোনো খোঁজখবর নেই। যাত্রীদের বসার জন্য দুই একটি জায়গা থাকলেও ট্রেন আসার আগে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে ট্রেনের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ট্রেনে উঠতে হয়। প্রায় সময়েই সরারচর রেলওয়ে ষ্টেশনে দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো খোঁজখবর রাখেন না বলে যাত্রীদের অভিযোগ। এ ছাড়া প্রতিদিন বিজয় এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, আন্ত:নগর এগারো সিন্দুর গোধুলী ও দুপুরে এগারো সিন্দুর ট্রেনটি ও চলে। সেই সময়েও যাত্রীরা ষ্টেশনে গিয়ে মনে হয় যেন সরারচর ষ্টেশনের এই বেহাল অবস্থা। অন্যদিকে এই তিনটি আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রীরা অনলাইন ভিত্তিক টিকিট চালু করলেও অধিকাংশ টিকিটই ষ্টেশনের কর্তৃপক্ষের কারণে কালো বাজারিদের হাতে টিকিটগুলো চলে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীদেরকে দুই থেকে তিনগুণ দামে টিকিট কিনে রেলে ভ্রমণ করতে হয় বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন কি?