১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শেরপুর পৌর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালটি দুই দফা উদ্বোধনের পরও চালু হয়নি। ফলে এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শেরপুরবাসী। বাস-মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, যাত্রী ও শ্রমিকদের বসার জায়গা না থাকা ও নিরাপত্তার শঙ্কায় টার্মিনালটিতে যাচ্ছেন না তারা। তবে দ্রুত টার্মিনালটি চালুর আশ্বাস দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
এক সময় শেরপুরে কোনো সরকারি বাস টার্মিনাল ছিল না। এ কারণে নবীনগর ও গৌরীপুরে ব্যক্তিমালিকানার দুটি জায়গা টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ অবস্থায় ২০০৯ সালে শেরিপাড়া এলাকায় তিন একর জমির ওপর বাস টার্মিনাল নির্মাণ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। সে সময় সেটি উদ্বোধন করা হলেও বাইপাস সড়ক না থাকার অজুহাতে তা চালু করা যায়নি। এরপর টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়নসহ ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাইপাস সড়ক নির্মাণের পর গত বছরের ৯ জুলাই আবারও তা উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু নিরাপত্তার অভাব এবং যাত্রী ও শ্রমিকদের পর্যাপ্ত বসার জায়গা না থাকার কথা জানিয়ে নতুন টার্মিনালে এখনও যেতে রাজি না বাস মালিক ও শ্রমিকরা।
বাস মালিকরা বলছেন, নবীনগর ও গৌরীপুরে যাত্রীরা নামলেই সেখান থেকে অটোরিকশা বা অন্য যানবাহন পাওয়া যায়। যেটা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
শেরপুর জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন ছানু জানান, নিরাপত্তার অভাব এবং যাত্রী ও শ্রমিকদের পর্যাপ্ত বসার জায়গা না থাকায় টার্মিনালটি চালু হচ্ছে না।
বাসচালকরা বলছেন, নতুন বাস টার্মিনালটি চালু হলে বাইপাস দিয়েই চলাচল করা যাবে। শহরের ভেতর দিয়ে চলাচল করতে হবে না। বাস টার্মিনালটি চালু হলে শহরের যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন আশ্বস্ত করে বলেন, বাস টার্মিনালটি দ্রুত চালু করার চেষ্টা চলছে।