চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া (৭৫) ইন্তেকাল করেছেন ((ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) ও ৪ -(ফরিদগঞ্জ) এই দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। ফরিদগঞ্জ আসনে
হাজারখানিক ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কাছে হেরে যান।সদর আসনে ভোট পেয়েছিলেন ২৪ হাজার।
নির্বাচনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী চিকিৎসক ডা. আনোয়ারা হক, দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন এবং রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্খি রেখে গেছেন।
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
খোঁজ নিযে জানাগেছে, চাঁদপুরের এ রাজনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কাউনিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম মো. হাসমত উল্ল্যাহ এবং মায়ের নাম হাজেরা বেগম। তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
কর্মজীবন তিনি লেখাপড়া শেষ করে প্রকৌশলী হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন। এছাড়াও তিনি দেশের অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কর্মজীবন শেষ করে তিনি ২০০৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর টানা ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এ ছাড়াও ঢাকাস্থ ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলা সমিতি সভাপতি, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা সমিতি সভাপতি, বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য ছিলেন এই নেতা।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার স্বনামধন্য গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার একমাত্র অনার্স কলেজ। যা ফরিদগঞ্জের একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ। এ ছাড়া তিনি কাওনিয়া শহীদ হাবিব উল্যা উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
পারিবারিক সূত্র এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার জানান, আজ বাদ আছর ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর চাঁদপুর জেলা সদর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় নিজ গ্রামের নামাজে জানাযা সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।