নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউপির খাজুরিয়া গ্রামের মোহছেন আউলিয়ার ওরশে তবারক বিতরণকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কলাবাড়ির গ্রামের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হচ্ছে আবির হোসেন (২৩) ও মোঃ ইসমাইল (২৫)। আহত অন্যান্যের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানাগেছে, গত বুধবার উপজেলার কেশারপাড় ইউপির খাজুরিয়া গ্রামে মোহছেন আউলিয়ার এক ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই মাহফিল শেষে দোয়া চলাকালিন সময়ে তবারক বিতরণকে কেন্দ্র কারে খাজুরিয়া ও কলাবাড়িয়া গ্রামের দুই দল কিশোরের সঙ্গে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে জানান স্থানীয় ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আলেক হোসেন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়।
ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টারদিকে খাজুরিয়া গ্রামের ১৫/২০জনের একদল কিশোর গ্যাং সদস্য লাঠিসোটা নিয়ে কলাবাড়িয়া গ্রামের ফজলুল হকের বাড়িতে গিয়ে হামলায় চালায় এতে ফজলুল হকের নাতী আবির হোসেন (২৩) আহত হয়। এ খবর দ্রুত কলাবাড়িয়া গ্রামের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে কলাবাড়িয়া গ্রামের লোকজন একজোট হয়ে খাজুরিয়া গ্রামের কিশোর গ্যাং সদস্যদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে ওই গ্রামের ছিদ্দিক মিয়া ছেলে কিশোর গ্যাং সদস্য মোঃ ইসমাইলকে (২৫) আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এসআই জাকিরে হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে ইসমাইলকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ ভর্তি করান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। এরআগে আবিরকে ণোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় দুই গ্রাম বাসীর মধ্যে উত্তেজণা বিরাজ করছে।
যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার ওসি মোঃ নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে জানান অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।