১৯৫৩ সালে নিউ জিল্যান্ডে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার স্মরণে এখন থেকে নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজের নাম হবে ‘টাঙ্গিওয়াই শিল্ড’। এর যাত্রা শুরু হবে আগামীকাল রোববার মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট দিয়ে। নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনাগুলোর একটি টাঙ্গিওয়াই ট্রেন ট্র্যাজেডি। ১৯৫৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর, বড়দিনের আগের রাতে নিউ জিল্যান্ডের ওয়েলিংটন থেকে অকল্যান্ডগামী ট্রেন ওয়াংগাহু নদীর রেলসেতুর ওপর দিয়ে ওই সময় যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল টাঙ্গিওয়াই। কিন্তু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সেতু ধসে ট্রেনের কয়েকটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে নদীতে পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় ট্রেনে থাকা ২৮৫ জনের মধ্যে ১৫১ জনের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়াদের মধ্যে ছিলেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক ফাস্ট বোলার বব ব্লেয়ারের বাগদত্তা নেরিসা লাভও। একই দিনে জোহান্সবার্গের এলিস পার্কে শুরু হয়েছিল নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্ট। সেই ম্যাচের অংশ ছিলেন ব্লেয়ার। প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৮ উইকেটে ২৫৯ রান। বক্সিং ডেতে দুর্ঘটনার খবর পায় নিউ জিল্যান্ড দল। ভেঙে পড়েন ব্লেয়ার। তিনি রয়ে যান টিম হোটেলে। জানানো হয়, তিনি ম্যাচ থেকে সরিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। তবে প্রথম ইনিংসে ১৫৪ রানে নিউ জিল্যান্ড ৯ উইকেট হারানোর পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে পড়েন ব্লেয়ার। বার্ট সাটক্লিফের সঙ্গে গড়েন ৩৩ রানের জুটি। নিউ জিল্যান্ডের ক্রীড়া ইতিহাসের স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর একটি এটি। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) প্রধান নির্বাহী স্কট ওয়েনিঙ্ক যেমন স্মরণ করলেন ওই ম্যাচকে। “এই টেস্ট ম্যাচের প্রেক্ষাপট সবচেয়ে দুঃখজনক, হৃদয়বিদারক এবং কল্পনাতীত গল্পগুলোর একটি। অবিশ্বাস্য সাহস আর স্থিতিশীলতার ইতিবাচক এক গল্প এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দল ও দর্শকদের দিক থেকে সমবেদনা ও সহানুভূতির। ক্রিকেট ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি সঠিকভাবে স্বীকৃতি পেতে দেখে আমি আনন্দিত।”