পঞ্চগড়ে দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলা পৃথক স্থান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাত ৮টায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার চালকাহাট ইউনিয়নের একটি আম বাগান থেকে হাত পা বাধা মাটি চাপা দেয়া টাবুল বর্মণ (৪৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই দিনে বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের সাঁওতালপাড়া ঘাট থেকে নুরুল ইসলাম (৪০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহগুলো উদ্ধারের পর এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে গেছে, নিহত টাবুল বর্মণ পঞ্চগড় সদরের মাগুরা ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমতি এলাকার হাগিরাম বর্মণের ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক।
অপরদিকে, নুরুল ইসলাম বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের মুসলিমপুর কাউয়া খাল এলাকায় মৃত ইয়াসিন আলীর ছেলে। পেশায় তিনি একজন ভ্যান চালক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, টাবুল বর্মণ গত ৩১ জানুয়ারি বিকেলে টাবুল নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আলসিয়াখানা বাজার গেলে নিখোঁজ হয়ে যান। পরে গভীর রাত হওয়ায় তিনি বাড়িতে না ফেরায় বৃহস্পতিবার টাবুলের ছোট ভাই গোবিন্দ চন্দ্র বর্মণ পঞ্চগড় সদর থানায় একটি জিডি করেন। এরমধ্যে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে ললিতা রানী ও তার মেয়ে মনিকা এবং জামাই প্রভাত চন্দ্র রায়কে (২৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ললিতার দেওয়া তথ্যমতে টাবুলের মরদেহ চালকাহাট ইউনিয়নের ডলোপাড়া গ্রামের একটি আমবাগানের খাল থেকে মাটি চাপা অবস্থায় উদ্ধার করে। তবে ললিতার আটকের পর তার স্বামী মন্টু রায় আত্মগোপনে চলে যান।
মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জতিশ চন্দ্র রায় বলেন, নিখোঁজের বিষয়টি জানার পর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। পরে পুলিশের পরামর্শে জিডি করা হলে থানা পুলিশের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, জেলার বোদা উপজেলায় মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের করতোয়া নদী হতে নিখোঁজের ৭দিন পর নুরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি ভ্যান নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের দুদিন পরে দেবিগঞ্জ সড়কে পাশে অটোভ্যানটি পাওয়া গেলেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডি করে পরিবার। এরমধ্যে স্থানীয়রা সাঁওতালপাড়া ঘাটে করতোয়া নদীতে একটি হাত-পা বাঁধা মরদেহ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করলে তার পরিচয় শনাক্ত হয়। পরে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় ও বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক মরদেহ উদ্ধারের বিষয়গুলো নিশ্চিত করে। একইসঙ্গে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।