আবারো চাঁদপুরের মেঘনা ও পদ্মা নদীতে ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত বালু খেকো সিন্ডিকেট চক্র।
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী পাহারায় রেখে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার চর ভৈরবী শেষ সীমানায় ও চাঁদপুর সদরের বহরিয়া লক্ষ্মীপুরে ড্রেজার দিয়ে দিনে এবং রাতে বালু কাটছে।
চাঁদপুর নৌ পুলিশের বিশেষ টিম নদীতে অভিযান চালিয়ে বালু কাঁটার সময় ড্রেজার মেশিন সহ ২ জনকে আটক করে। ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান।
তবে অবৈধ বালু উত্তোলনকারী মূল হোতা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নৌ পুলিশ ড্রেজার জব্দ করে নিয়ে আসার সময় তাদের উপর বালু খেকোরা হামলা চালানোর চেষ্টা করে বলে জানা যায়।
অবশেষে চর ভৈরবী নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে আটক দুইজনকে নিয়ে আসা হয়েছে।
সূত্র জানায়, চাঁদপুর পদ্মা মেঘনায় বালু কাঁটার সরকারি কোন অনুমতি বা বালু মহাল ইজারা নেই। কিন্তু বালু খেকো চক্র বসে নেই।তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে নদীতে বালু কাটছে। প্রতিদিন কয়েক'শ জাহাজ ভর্তি(বাল্কহেড) বালু বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা ব্যক্তি বিশেষ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর আগেও নৌ পুলিশ এবং কোস্টগার্ড বেশ কয়েক বার নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ড্রেজারসহ বলগেট জব্দ করার পর কিছুদিন বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল।
তারপর আবারো রাতে ও দিনে বালু কাটে তারা।
প্রশাসনের অভিযানকেও সন্দেহের চোখে দেখছে স্থানীয় সচেতন মহল।
যেখানে বালু কাটা ও বিক্রির অনুমতি নেই। সেখানে বারবার নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রির টাকা যায় কোথায়? কারা এসব করছে। এর সাথে প্রভাবশালী কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে ধরা হচ্ছে না। এমন প্রশ্ন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
মন্ত্রী-এমপি,জেলা প্রশাসন, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড সবই আছে।কিন্তু রাষ্ট্রের খনিজ সম্পদ নদীর বালু বিনা অনুমতিতে উত্তোলন করে বিক্রির এমন দুঃসাহস কারা দেখাচ্ছে তা তদন্ত করে ধরা দরকার। সরকারি রাজস্ব বঞ্চিত এই অবৈধ তৎপরতা কঠোরহস্তে দমন করা না হলে তা কিছুদিন বন্ধ থেকে,আবার চলবে এমন অভিমত পর্যবেক্ষক মহলের।
নৌ পুলিশ এসপি কামরুজ্জামান জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার সময় ১টি ড্রেজার বাল্কহেড সহ ২জনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট চক্ররা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।