বগুড়ার শেরপুরে রাতের আঁধারে কে বা কারা উপজেলা পরিষদের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছে। ৪ ফেব্রুয়ারী রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। এই কাজ মাদকসেবীরা করতে পারে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, শেরপুর উপজেলা পরিষদের কোন প্রাচীর না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত অরক্ষিত অবস্থায় ছিল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন। গত বছর উপজেলা পরিষদের প্রাচীর নির্মাণের কাজ হাতে নেয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠিান প্রাচীরের কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে। এ অবস্থায় পরিষদের দক্ষিণ দিকে কিছুটা জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছিল।
কিন্তু সেই ফাঁকা জায়গা দিয়ে সন্ধ্যার পরে বিভিন্ন প্রকার দুর্বৃত্ত ও মাদকসেবনকারী পরিষদের ভিতর প্রবেশ করত। এ কারণে সেই ফাঁকা জায়গাটিও বন্ধ করে দেয় প্রকৌশল বিভাগ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এর আগে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য ১৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি বিকল্প রাস্তাও তৈরি করে দেয়া হয়। কিন্তু দুর্বৃত্ত ও মাদক সেবনকারীদের জন্য উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ পাশের অন্ধকার জায়গাটি উপযোগী ছিল। ধারণা করা হচ্ছে রাতের আঁধারে তারাই কাজটি করে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ঘটনা ঘটার খবর পেয়েই পুলিশসহ সেই স্থান পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশল বিভাগ ইতোমধ্যে থানায় জিডি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি আরো বলেন দক্ষিণ দিকের অন্ধকার স্থানটিতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সেখানে অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে একটি ব্যাডমিন্টন কোট নির্মাণ করা হচ্ছে। মাদক নয় বরং যুব সমাজকে ক্রীড়ামুখী করতে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরী। প্রয়োজন হলে প্রশাসন আরো কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি জানান।