কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুল মালেক (৭৫) নামের একজন খুন হয়েছেন। গত রোববার রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আবদুল মালেক উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের পূর্ব কুমারপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় ভাবে সার্ভেয়ার হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার হোসেন্দী পূর্ব কুমারপুর গ্রামের আবদুল মালেক এর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে পাশের বাড়ির আজিজুল গংদের বিরোধ চলছে। এনিয়ে রোববার স্থানীয়ভাবে শালিস দরবার বসে। শালিস থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবদুল মালেকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের আক্রমনে গুরুতর জখম হন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন আবদুল মালেককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের ছেলে রফিকুল ইসলাম রানা বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বাবার ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করেছেন। আমি তাদের দৃৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসাদুজ্জামান টিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।