বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কোয়ার্টার থেকে সোমবার সকালে অন্তরা পানুয়া (২২) নামের আইএইচটির দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি (অন্তরা) আইএইচটির ডেন্টাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মৃত অন্তরার সহপাঠী সুরাইয়া আক্তার বলেন, সোমবার সকালে দরজার ফাঁক দিয়ে অন্তরাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
এরপর পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে অন্তরার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছেন। সুরাইয়া আরও বলেন, রোববার (৪ ফেব্রুয়ারী) আইএইচটির ইন্সট্রাকশন শিক্ষক তাহের সুমনের মাধ্যমে অন্তরা ওই রুমে উঠেছেন। সোমবার সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি অন্তরার স্বামী তাপসকে জানানো হয়েছে। মৃত অন্তরা পটুয়াখালীর খলিসাখালি উপজেলার বাসিন্দা অনুকূল চন্দ্র পানুয়ার মেয়ে।
কোতোয়ালি মডেল থানার উপণ্ডপরিদর্শক(এসআই) রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। মৃতের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে শেবাচিম হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের কোয়ার্টারে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক তাহের সুমনের পরিবার কীভাবে থাকেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে আইএইচটির ইন্সট্রাকশন শিক্ষক তাহের সুমন কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। তবে, আইএইচটির অধ্যক্ষ মানষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, শেবাচিম হাসপাতালের কোয়ার্টারে আমাদের শিক্ষার্থী থাকার কথা নয়। কি কারণে ওখানে শিক্ষার্থী থাকেন এটি আমরা খতিয়ে দেখবো।