এফএনএস (জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না; লালমনিরহাট) : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার এক কুমারী। পলাতক সেই আসামি ধর্ষক প্রেমিক ইসরাউল হক রানাকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে আদিতমারী থানা পুলিশ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বলেন আসামি দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের পেকুয়া এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীকে চিহিৃত করে গ্রেপ্তারের পর শনিবার আদিমারী থানায় নিয়ে আসা হয়।
ধর্ষক প্রেমিক ইসরাউল হক রানা উপজেলার দূগর্পিুর ইউনিয়নের দিঘলটারী (পশ্চিম বর্ডার) গ্রামের এজিজুল হকের ছেলে।
মামলার সুত্রে জানা যায়, ওই প্রেমিক একই এলাকার মাঝপাড়া গ্রামের ১৮ বছরের এক তরুনীর সাথে প্রেমের সর্মúক গড়ে তোলে। দুই বছরের প্রেমে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত বছরের ১৫ মার্চ আসামি তার এক আত্বীয়র বাড়িতে নিয়ে প্রেমিকাকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে। এরপর আরও একাধিকবার ধর্ষন করলে প্রেমিকা অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি প্রেমিককে জানালে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আত্বগোপন করে এবং দির্ঘদিন পালিয়ে থাকে।
এ অবস্থায় মেয়েটি চলতি বছরের ২১ জানুয়ারী লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে। এরপর কুমারী মাতার পরিবারের অভিভাবকরা আসামি ইসরাউল হক রানার পরিবারের সাথে ঘটনাটি বিয়ের মাধ্যমে সমাধান করার চেস্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে কুমারী মাতা মেয়েটি নিজেই বাদী হয়ে গত ২৮ জানুয়ারী লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
আদিতমারী থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় আমি সহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো:জয়েন উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ আসামীকে গ্রেপ্তারে কক্সবাজার পেকুয়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনার একপর্যায়ে আসামিকে পেকুয়া থানা এলাকা হতে গ্রেপ্তার পুর্বক শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) আদিতমারী থানায় নিয়ে আসা হয়। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণসহ আইনগত অন্যান্য বিষয় সমূহ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।