এবার আলোচিত শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চরবাসী। মোল্লাকে ভূমিদস্যু আখ্যায়িত করে, তার বাহিনীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছে বিক্ষোভকারীরা।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার দুর্গম চর কাজলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা। তার পারিবারিক বাহিনীর কাছে চরের বেশ কিছু গ্রামের মানুষ জিম্মি এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।সা;সদের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি এসব কর্মকা- করছেন চরের নিরীহ মানুষদের উপর।এ সময় তার পদ প্রত্যাহার সহ শাস্তি দাবী করেন চোরের লোকেরা।
শাহজাহান মোল্লা নিজে অন্তরালে থেকে সুসংগঠিত বাহিনী দ্বারা অন্যায়ভাবে মানুষের জমি দখল, লুট-তরাজ এবং নির্যাতন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এমন অভিযোগ চরঘাগুয়া গ্রামেরবাসীন্দাদের। শনিবার বিকেলে চরের কয়েকটি গ্রামের মানুষ একত্র হয়ে শাহজালাল বাজারে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ করেছেন।
ভুক্তভোগিদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবু বক্কর, লতিফ মন্ডল, সাবেক মেম্বার আনিছুর রহমান আনিছ, জগলুল পাশা, আবু খান, মোতালেব মন্ডল, আবদুর রসিদ শেখ, সরিফ খান, লুৎফর প্রাং, আল আমিন, মোশারফ, আতাউর মুন্সি, মিজানুর মুন্সিসহ অনেকে।
বিক্ষোভ চলাকালে তারা শাহজাহান মোল্লা এবং তার বাহিনীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, গেলে জানুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ রাতে শাহজাহান মোল্লার পালিত বাহিনীর সদস্যরা চরঘাগুয়ার আবু বক্কর মন্ডলের বাড়িতে দলবদ্ধভাবে হামলা করে। দরজা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। ঘরে গচ্ছিত থাকা নগদটাকা এবং স্বর্ণ মিলে প্রায় ২০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ওই বাহিনী।
এ সময় তারা পরিবারের সদস্যদের বেদম মারধর করেন। পরে আবু বক্কর মন্ডলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সারিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা করেছেন। এদিকে কাজলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম তারা ও কৃষক লীগ সভাপতি আবু খান আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, ইউনিয়ন সেক্রেটারী শাহজাহান মোল্লার এমন কর্মকাণ্ডে সংগঠনিকভাবে আমরা বিব্রত। নিজেদের দলীয় নেতা - কর্মীরা এসব মেনে নিতে পরছেন না। মোল্লা বাহিনীর অত্যাচারের মাত্র ভোটের পরে বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আওয়ামী লীগের সুনাম কমে গেছে চরে দলের স্বার্থেই তাকে প্রতাহার করা দরকার।
একজনের জন্য এমন হবে তা আমরা মানি না। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে, সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন সংগঠন ছোট্ট একটি জায়গা। এখান থেকে আসলে আমাদের কিছুই করার নেই। সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিতে পারেন কেবল জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
এসময় এই আওয়ামী লীগের ওই নেতারা অনেকটা অসহায় হয়ে আরো বলেন, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন অতি দ্রুত সংগঠনের মধ্যে থেকে অপরাধীদের বের করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। গেলো ১ ফেব্রুয়ারি সারিয়াকান্দির কাজলার চরের নির্যাতিত মানুষদের নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক মানবজমিন।
সেই সংবাদের বিরুদ্ধে রীতিমত শাহজাহান মোল্লা তার দলীয় অনুসারীদের নিয়ে পত্রিকা এবং প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে ২ ফেব্রুয়ারি। সে সময় শাহজাহান মোল্লা নিজেকে নিরপরাধী দাবী করে সংবাদটিকে মিথ্যা বানোয়াট বলেছেন। সেই সাথে পত্রিকা এবং প্রতিবেদককে উদ্যেশ্য করে অবমাননামূলক কথাও বলেছেন।