খুলনার পাইকগাছা পৌরসভায় লোনাপানি উত্তোলন বন্ধ ও নাগরিক অধিকার রক্ষা সহ লোনাপানি উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনজীবী এফএমএ রাজ্জাকের লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন। লিগ্যাল নোটিশ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা ২০০৮ এবং মহামান্য হাইকোর্টের রিটপিটিশন নং ৫৭/১০ মোতাবেক সুন্দরবন উপকূলীয় কৃষি জমি ও বসতী এলাকায় লোনা পানি তুলে চিংড়ি চাষ করে আর্থসামাজিক ও পরিবেশের ক্ষতি থেকে বিরত থাকার আদেশ দেন। তাছাড়া পাইকগাছা উপজেলা পরিষদে পৌর এলাকার মধ্যে লোনাপানি তুলে চিংড়ি চাষ বন্ধের সিদ্ধান্ত আছে। পাইকগাছা পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। যেখানে রয়েছে অকৃষি জমি। এর মধ্যে সরকারি আইন ও নিয়ম অমান্য করে কতিপয় অসাধু মৎস্য লীজ ঘের ব্যবসায়ী শিববাটি ও বয়রার ওয়াপদা গেট দিয়ে এবং পৌর এলাকার ওয়াপদা বাধের বিভিন্ন স্থানের বাঁধ কেটে পাইপ বা বাক্স কল বসিয়ে অবৈধ ও বে-আইনীভাবে লোনাপানি তুলে মৎস্য লীজ ঘের করছেন। এতে জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। লোনার কারণে পৌর এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি নষ্ট হচ্ছে। প্রাণীসম্পদ, গাছপালা ও উদ্ভিদ এর মারাত্মক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। মিষ্টি পানির সংকট প্রকট। লোনাপানির কারণে মানুষ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে পৌরসভার অবকাঠামো গুলো ধংস হয়ে কৃষি জমির মাটি ও পানীয় পানী দূষিত হয়ে মানুষ সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই পৌরসভার স্থায়ী বাসিন্দা, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও বিশিষ্ট আইজীবি এফএমএ রাজ্জাক পাইকগাছা পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার ভূমি, পাউবো'র নির্বাহী প্রকৌশলী ও পাইকাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জকে ৬ ফেব্রুয়ারী' ২৪ লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন। পাইকগাছা পৌর এলাকায় লোনাপানি উত্তোলন বন্ধ সহ লোনাপানি উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রাপ্তির ৭দিনের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় তিনি পৌরবাসির স্বার্থে যথাযত আইন ও আদালতের আশ্রয় নেবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করেন। লিগ্যাল নোটিশের অনুলিপি কৃষি সম্পাদ মন্ত্রনালয়, পানি সম্পাদ মন্ত্রনালয়, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা প্রশাসককে প্রেরন করা হয়েছে।