ভূঞাপুরে প্রিন্টার কেনার কথা বলে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ নামে এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৪১ নং ভালকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান প্রামাণিক। বুধবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিদ্যালয়ের সভাপতি হাবিবুর রহমান প্রামাণিক বিষয়টি জানিয়েছেন। এরআগে গত ৩১ জানুয়ারি তিনি লিখিত অভিযোগ দেয়। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের স্লিপ ফান্ডের প্রাক্কলনে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে প্রিন্টার কেনার কথা থাকলেও সেটি না কিনে ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে স্লিপ ফান্ডের প্রাক্কলনের টাকায় পৃথক রুম না করার কথাও উল্লেখ তিনি করেছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়- এ ছাড়াও একই অর্থ বছরে প্রাক প্রাথমিকের জন্য ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে কাজ করেনি। কৌশলে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা উত্তোলন করে থাকে এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন আসবাবপত্র মেরামতের কথা বলেও টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন- ‘সব সমাধান হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ে কাজ চলমান রয়েছে। আপনি সরেজমিনে এসে দেখে যান বলেই তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেয়। পরে একাধিবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেনি।’ বিদ্যালয়ের সভাপতি হাবিবুর রহমান প্রামাণিক বলেন- ‘ইউএনও কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর প্রধান শিক্ষক নামমাত্র দায়সারা কিছু কাজ করেছে। আর সব কিছু সমাধানের বিষয়টি তিনি মিথ্যা বলেছে। তার সাথে এনিয়ে কোনো কথাবার্তা হয়নি। অভিযোগটি কর্তৃপক্ষ তদন্ত করবেন।’ উপজেলা শিক্ষা অফিসার এমজি মাহমুদ ইজদানী বলেন- ‘এখনো অভিযোগ হাতে পায়নি।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়াসহ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’